স্টাফ রিপোর্টার – বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করবেন। ৬ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর ভারত সফরে থাকবেন। এই সফরে পানি বন্টন নিয়েই আসল আলোচনা হবে বলে ভারতের গণমাধ্যমগুলোই জানাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন সফরের সময় তিস্তা ছাড়াও মনু, মুহুরি, খোয়াই, গোমতী, ধরলা ও দুধকুমার- এই ছয়টি অভিন্ন নদীর পানি বন্টনের একটি কাঠামো চূড়ান্ত করার লক্ষ্য রয়েছে বাংলাদেশের। এছাড়া গঙ্গা নদীর পানি বন্টন চুক্তি নবায়নের বিষয়টিও গুরুত্ব পাবে।
ঢাকার একটি সূত্রের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বৈঠকে দুই পক্ষই গঙ্গার পানি ব্যবহার নিয়ে একটি যৌথ সমীক্ষা এবং কুশিয়ারা নদীর পানি প্রত্যাহারের বিষয়ে একটি চুক্তি চূড়ান্ত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভারতের সঙ্গে তিস্তা নদীর পানি বন্টনের বিষয়টি অনেকদিন ধরেই আটকে আছে রাজনৈতিক টানাপড়েনে। এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় আরো বড় পরিসরে দুই দেশের মধ্যে যৌথ পানি বন্টন ও পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা গুরুত্ব পেতে পারে। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠকে বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
প্রতিবেশী এই দুই দেশের মধ্যে দিয়ে বয়ে গেছে ৫৪টি অভিন্ন নদী, যা সীমান্তের উভয় পাশের মানুষের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। তাই শেখ হাসিনার আসন্ন এই সফরে (ত্রিপুরা থেকে প্রবাহিত) মুহুরি এবং ফেনী (ত্রিপুরায়)-কুশিয়ারা (বাংলাদেশে) মতো অন্যান্য বড় নদীগুলোর পানি ভাগাভাগির বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে কাজ করছে দুই দেশ। এছাড়া ২০২৬ সালে গঙ্গার পানি চুক্তি নবায়নের বিষয়েও কাজ চলছে।
দুই দেশের মধ্যে পানি চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনার পাশাপাশি অভিন্ন নদীর পানি সম্পদ সম্পর্কিত তথ্য, বন্যার তথ্য বিনিময় এবং বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের মতো সাধারণ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় যৌথ ব্যবস্থাপনার দিকেও নজর দিচ্ছে দুই দেশ। বাংলাদেশের সাথে তিস্তা নদীর পানি বণ্টনের বিষয়টি এখনও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গের মমতা ব্যানার্জি সরকারের মধ্যে অভ্যন্তরীণ বিতর্কিত বিষয় হয়ে আছে। এদিকে হাসিনা-মোদির বৈঠকের আগেই দুই দেশের যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) আলোচনা মঙ্গলবারি ভারতে শুরু হয়েছে। ২০১০ সালের পর বৈঠক বসে জেআরসি। সচিব পর্যায়ের এই বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকও হবে।