স্টাফ রিপোর্টার – স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, দেশে এখন পর্যন্ত সোয়া ৪ কোটি মানুষকে করোনা টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজমের প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চলতি বছরের ২২ আগস্ট পর্যন্ত ৩২ কোটি ৩১ লাখ ৯ হাজার ৫০০ ডোজ টিকা আমদানি করা হয়েছে। দেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরুর পর এ পর্যন্ত (২২ আসস্ট ২০২২) ১২ কোটি ৯৮ লাখ ৬০ হাজার ৫৭৮ জনকে টিকার প্রথম ডোজ, ১২ কোটি ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৭৪০ জনকে দ্বিতীয় ডোজ এবং ৪ কোটি ২৭ লাখ ৬৯ হাজার ৭৭৭ জনকে টিকার তৃতীয় (বুস্টার) ডোজ দেওয়া হয়েছে।
২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন নার্সকে টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে সারাদেশে করোনা টিকা দেওয়া শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে গণটিকা দেওয়া শুরু করে সরকার।
দেশে ৩২ কোটি ৩১ লাখ ডোজ করোনার টিকা এসেছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের টিকার ৩২ কোটি ৩১ লাখের বেশি ডোজ আনা হয়েছে। এর মধ্যে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে ৪ কোটির বেশি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধকল্পে- এ পর্যন্ত (২০২২ সালের ২২ আগস্ট) ৩২ কোটি ৩১ লাখ ৯ হাজার ৫০০ ডোজ টিকা আমদানি করা হয়েছে। ২২ আগস্ট পর্যন্ত ১২ কোটি ৯৮ লাখ ৬০ হাজার ৫৭৮ জনকে প্রথম ডোজ, ১২ কোটি ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৭৪০ জনকে দ্বিতীয় ডোজ ও চার কোটি ২৭ লাখ ৬৯ হাজার ৭৭৭ জনকে তৃতীয় ডোজ (বুস্টার) টিকা দেওয়া হয়েছে।
দেশে বর্তমানে নরমাল ডেলিভারির হার সবচেয়ে বেশি বলে উল্লেখ করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক। এই নরমাল ডেলিভারির হার ৬৯ শতাংশ বলেও তিনি জানান। বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মো. রুস্তম আলী ফরাজীর এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে নরমাল ডেলিভারির হার ৬৯ শতাংশ এবং সিজারিয়ান ডেলিভারির হার ৩১ শতাংশ। নরমাল ডেলিভারির হার বৃদ্ধি ও সিজারিয়ান সেকশন হ্রাসকল্পে প্রমোশন অব নরমাল ভ্যাজাইনাল ডেলিভারি, প্রিভেনশন অব আননেসেসারি সিজারিয়ান সেকশন অ্যান্ড ক্রিয়েটিং অ্যাওয়ারনেস অ্যাবাউট নেসিসিটি অ্যান্ড জাস্টিফিকেশন অব ক্রিয়েশন সেকশন শীর্ষক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।
এই প্রকল্পের আওতায় গর্ভবতী মায়েদের নরমাল ডেলিভারির ইতিবাচক বিষয়ে আলোচনা এবং অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান সেকশনের বিষয় সম্পর্কে গর্ভবতী মাকে অবহিত করা হয়ে থাকে। গর্ভবতী মায়েদের প্রসবপূর্ব সেবা নিশ্চিতকল্পে বাড়িতে বাড়িতে সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে ‘মা’ সমাবেশ করা হচ্ছে।