স্টাফ রিপোর্টার – ভারতের হায়দরাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এ বৈঠক শুরু হয়। এ বৈঠকের পর সকালে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে যান সরকারপ্রধান। সেখানে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে শেখ হাসিনার সঙ্গে তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেন মোদি।
দুই দেশের দুই প্রধান শুরুতে একান্ত বৈঠকে বসেন। পরে তাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শুরু হয়। বাণিজ্য, জ্বালানি, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে সহযোগিতার পাশাপাশি দুই দেশের অনিষ্পন্ন বিষয়গুলো আলোচ্যসূচিতে প্রাধান্য পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বৈঠক শেষে শেখ হাসিনা ও মোদির উপস্থিতিতেই কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে। কর্মসূচি শেষে মোদির দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
এরআগে আলোচনার মাধ্যমে অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতকে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সমস্যাগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার আয়োজিত সংবর্ধনা কাম নৈশভোজ অনুষ্ঠানে ভারতীয় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
সোমবার প্রেস সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের বৃহত্তম প্রতিবেশী ও বন্ধু দেশ এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের আলাদা সম্পর্ক রয়েছে। কারণ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ভারত সম্পূর্ণরূপে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। আমাদের সমস্যা থাকতে পারে কিন্তু আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো সমস্যারই সমাধান করা যায়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে সোমবার নয়াদিল্লি গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে দিল্লির পালাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান ভারতের রেল ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম জারদোশ। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন- ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান। বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ ছাড়া স্বাগত নৃত্য আর বাদ্যযন্ত্র পরিবেশন করে তাকে অভ্যর্থনা জানায় একটি সাংস্কৃতিক দল।