Search
Close this search box.

তুমব্রু সীমান্তবাসীর মধ্যে এখনো আতঙ্ক কাটেনি

স্টাফ রিপোর্টার- বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তবাসীর মধ্যে আতঙ্ক কাটেনি, বুধবার সকাল থেকে সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরের আবার থেমে থেমে গুলির ও মর্টার শেলের বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরের গুলির আওয়াজে এপারের তুমব্রু সীমান্তবাসীর মধ্যে নতুনভাবে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সকাল থেকে আবার ভারী অস্ত্রের শব্দ শোনা যাচ্ছে। থেমে থেমে গুলির শব্দে এপারের জনগণের মনে ভয়ভীতি কাজ করছে।

বিস্বস্তসূত্রে জানা গেছে, সীমান্ত এলাকায় প্রতিদিনই কমবেশি গুলির আওয়াজ আসছে বিগত একমাস ধরে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সে দেশের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সংঘাতের কারণে বুধবার সকাল থেকে গুলির আওয়াজ শুনতে পাচ্ছে তুমব্রু সীমান্তের বাসিন্দারা। সীমান্তের ওপারে ভারী গোলাবারুদ বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। কিছুক্ষণ পর পর গুলির আওয়াজ আসছে। পুরো সীমান্ত এলাকা কেঁপে উঠছে। গত কয়েকদিনের তুলনায় বুধবার গুলি ও মর্টার শেল বিস্ফোরণের আওয়াজ আরও বেড়ে গেছে। যারা সীমান্ত এলাকায় মাটির ঘরে অবস্থান করছে, মিয়ানমারের ভারী অস্ত্রের কারণে সেসব ঘর ভেঙে পড়ার অবস্থা হয়েছে।

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ও তুমব্রু সীমান্ত বরাবর মর্টার শেল পড়ার পর থেকে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম, তুমব্রু, বাইশফাঁড়ি, রেজু-আমতলী এবং আষাঢ়তলীসহ পুরো সীমান্ত এলাকায়।

এদিকে মিয়ানমারের এমন পরিস্থিতিতে সীমান্তে বসবাসকারী জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি জানান, সরকার বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে নজরদারি করছে।

প্রসঙ্গত, ২৮ আগস্ট নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু এলাকায় মিয়ামারের দু’টি অবিস্ফোরিত মর্টারশেল এসে পড়লে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত মর্টারশেল দু’টি উদ্ধার করে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ