Search
Close this search box.

ধর্ষণের অভিযোগে পৌর মেয়র বরগুনায় গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার- রাজশাহীর পুঠিয়ায় এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে পুঠিয়া পৌরসভার মেয়র ও সাবেক উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আল মামুন খানকে বরগুনা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার বরগুনা পৌরসভার ডিকেপি রোড থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

আল মামুন রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার গন্ডগোহালী গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীর পুঠিয়ার পৌর মেয়র ও সাবেক উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আল মামুন খান এক নারীর সঙ্গে জোরপূর্বক একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছেন। বিষয়টি বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়ায় ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে গত রোববার (০৪ সেপ্টেম্বর) রাতে থানায় ধর্ষণের একটি অভিযোগ দেন। পরে সোমবার (০৫ সেপ্টেম্বর) সকালে অভিযোগটি মামলা ভুক্ত করা হয় এবং দুপুরে ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়। এর পর থেকে মেয়র আল মামুন পলাতক ছিলেন।

ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, গত এক বছর আগে পৌরসভায় একটি চাকরির জন্য মেয়রের কাছে গিয়েছিলাম। এর পর তিনি বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে নিয়মিত ধর্ষণ করতেন। এক পর্যায়ে তার এ অনৈতিক কাজে রাজি না হওয়ায় তিনি আমাকে বিয়ের প্রলোভনে আরও কয়েকবার ধর্ষণ করেন। সম্প্রতি মেয়র আর আমাকে চাকরি দেবেন না এবং বিয়েও করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। বিষয়টি প্রতিবাদ করায় তার সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ জন্য তার বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করি।

ওই নারী আরও বলেন, মেয়র একজন চরিত্রহীন ব্যক্তি। তিনি ক্ষমতার প্রভাব খাঁটিয়ে ও বিভিন্ন প্রলোভনে নিয়মিত বিভিন্ন নারীদের সঙ্গে অসামাজিক কাজ করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে আগেও থানায় ধর্ষণ মামলা হয়েছে।

এর আগে, গত বছরের শুরুতে দুর্গাপুর উপজেলার একজন হাসপাতালের সেবিকাকে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণ করেছিলেন মেয়র। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। পরে তিনি সন্তানের পিতৃপরিচয়ের দাবি করেন। তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত বছর ১১ এপ্রিল মেয়রের লোকজন তাকে ব্যক্তিগত অফিসে তুলে এনে নির্যাতন করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ওই সেবিকাকে মেয়রের চেম্বার থেকে উদ্ধার করেছিল। উদ্ধারের পর ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে মেয়রকে আসামি করে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার কিছুদিন পর আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতার তদবিরে বিষয়টি রফা করা হয়।

অভিযুক্ত পুঠিয়ার মেয়রের গাড়িচালক মনিরুল ইসলাম বলেন, তিনি (মেয়র) বিএনপি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। এ জন্য রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা তাকে ফাঁসিয়েছেন। তিনি মঙ্গলবার (০৬ সেপ্টেম্বর) আমাদের বাসায় এসেছিলেন। পরে বুধবার সকালে আমার বাসা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এ মামলা সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলক।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ