স্টাফ রিপোর্টার- সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতুর ১০ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কায় একটি বালুবোঝাই বাল্কহেড ডুবে গেছে। এসময় বাল্কহেডে থাকা পাঁচ শ্রমিক সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও এর কিছুক্ষণ পর আপর একটি বাল্কহেড সেতুর ৯ নম্বর পিলারে ধাক্কা দিয়ে সেখানেই আটকে আছে। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ডুবে যাওয়া বাল্কহেডটি সিরাজগঞ্জ থেকে বালু নিয়ে নারায়ণগঞ্জ ও আটকে থাকা বাল্কহেডটি সিরাজগঞ্জ থেকে বালু নিয়ে ফরিদপুর সিএনবি ঘাটের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
ডুবে যাওয়া বাল্কহেডের শ্রমিকরা জানিয়েছে, দুপুরে তারা সিরাজগঞ্জের হাজি সাত্তারের বালুমহাল থেকে বালুভর্তি বাল্কহেডটি নিয়ে নারায়ণগঞ্জের দিকে রওয়ানা দেয়। নদীতে অতিরিক্ত স্রোতের কারণে পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বাল্কহেডটি ডুবে যায়।
বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর প্রকৌশলী ফারুক হোসেন বলেন, নদীর প্রবল স্রোতের কারণে বাল্কহেডটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পাড়ের ১০ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে এবং সেখানেই ডুবে যায়। তার কিছুক্ষণ পর ৯ নম্বর পিলারের সঙ্গে আরেকটি বালুবোঝাই বাল্কহেড ধাক্কা দিয়ে আটকে যায়।
তিনি আরও বলেন, দুদিন আগে একই স্থানে বালুবোঝাই একটি বাল্কহেড ডুবে গেছে। এ ঘটনায় একজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাকে এখনো উদ্ধার করা যায়নি বলে জানতে পেরেছি।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু সেতুর সাইড অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান মাসুদ বাপ্পী বলেন, সকালে সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব মনজুর হোসেন বঙ্গবন্ধু সেতু পরিদর্শনে এসেছেন। ডুবে যাওয়া বাল্কহেড সম্পর্কে জানি না। তবে একটি বালুবোঝাই বাল্কহেড আটকে আছে বলে জানতে পেরেছি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, দুপুরের দিকে আমরা জানতে পারি, সেতুর ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা লেগে বালুবোঝাই একটি বাল্কহেড ডুবে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি নৌ-পুলিশকে জানিয়েছি। পরে কী হয়েছে তা জানি না। তার ঘণ্টাখানেক পরে আমাদের ফোর্স জানায়, ৯ নম্বর পিলারের সঙ্গে বালুবোঝাই আরেকটি বাল্কহেড ধাক্কা দিয়ে আটকে আছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে সেখানে যাই। দেখি প্রচণ্ড স্রোতে পিলারের সঙ্গে বাল্কহেডটি আটকে আছে। এতে নদীর স্রোতের পুরো চাপ গিয়ে পিলারে পড়ছে।