স্টাফ রিপোর্টার- রাজধানীর গুলিস্তানে মঙ্গলবারও ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
পদ্মা সেতু ও মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সুফল পেতে গুলিস্তান এলাকা রেড জোন ঘোষণার পর থেকে সেখানে কোনো হকার বসা নিষিদ্ধ করে ডিএসসিসি।
গত রোববার থেকে এ নিয়ে রোজ অভিযান চলছে। তবে অভিযোগ রয়েছে, সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা অভিযান শেষ করে চলে গেলে রাস্তা-ফুটপাতে আবার হকাররা বসে। সেটা যাতে আর না বসতে পারে, তাই নিয়মিত অভিযান চলবে বলেও জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামান।
এদিকে এই অভিযানের বিরুদ্ধে কিছুক্ষণ রাস্তা আটকে বিক্ষোভ করে হকাররা। তাদের দাবি, স্থায়ী পুনর্বাসন ছাড়া এই সিদ্ধান্ত তারা উঠবেন না।
গত দুদিনে সরেজমিনে দেখা গেছে, সিটি করপোরেশনের অভিযানের খবরে আগে থেকেই সতর্ক হয়ে যান হকাররা। তাদের মধ্য থেকে কেউ কেউ স্বপ্রণোদিত হয়ে বা দায়িত্ব পেয়ে ইনফর্মার বনে যান। ম্যাজিস্ট্রেটকে আসতে দেখলেই তারা সিগনাল দিয়ে হকারদের রক্ষার কাজ করতে থাকেন।
ফলে ম্যাজিস্ট্রেট গুলিস্তানের এক গলি দিয়ে ঢুকলে খবর পেয়ে অন্য গলি দিয়ে কাঠের খাট, বাক্স, কাঠ ও প্লাস্টিকের টুল-মোড়া ইত্যাদিসহ যার যার বিক্রয়যোগ্য জিনিসপত্র নিয়ে দৌড়ে পালান হকাররা। এ যেন ম্যাজিস্ট্রেট-হকার লুকোচুরি খেলা। তবে, তাড়াহুড়ো করেও ঠিক সময়ে জিনিসপত্র বস্তায় ভরতে বা সরিয়ে ফেলতে না পেরে অনেকেই জরিমানায় পড়েছেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামান বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস নির্দেশ দিয়েছেন এ এলাকা দখলমুক্ত করতে। তারই অংশ হিসেবে আমরা মাইকিং করেছি তারপর অভিযান পরিচালনা করেছি। তারা আবার বসেছে। এলাকাটি ডিএসসিসির রেড জোন হওয়ায় এখানে অবৈধ দোকান বসতে দেওয়া হবে না। প্রতিদিনই আমাদের উচ্ছেদ অভিযান চলবে।