স্টাফ রিপোর্টার – ‘রাজনীতির হালচাল’ এবং বিএনপি নেতা কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে বিএনপি ও জাপানি রাষ্ট্রদূতের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রবিবার সকাল ১০টার দিকে জাপানি রাষ্ট্রদূতের পতাকাবাহী গাড়ি বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে প্রবেশ করে। সেখানেই বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে তার বৈঠক হয়। মির্জা ফখরুলের সঙ্গে বিএনপির পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির আহ্বায়ক ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জাপান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন দূতাবাসের পলিটিক্যাল অফিসার ইয়োশাইকি কোবাইশি।
শনিবার সন্ধ্যায় বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউতে দলের মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরপরই দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, বিএনপি নেতা শ্যামা ওবায়েদ, তাবিথ আউয়ালসহ নেতৃবৃন্দের ওপর আওয়ামী লীগের হামলার ঘটনার পর রবিবার সকালে জাপানের রাষ্ট্রদূতের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। দলের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল এই হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন।
বৈঠক শেষে আলোচনার বিষয়বস্তু জানতে চাইলে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় যেসব বিষয় আছে, সেগুলোর উপরে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া সমকালীন যে রাজনৈতিক অবস্থা, তার উপরে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ-জাপানের যে সম্পর্ক, সেটা অনেক দিনের সম্পর্ক। জাপান আমাদের দ্বিপক্ষীয় দাতাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় দাতা।
দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপি রাষ্ট্রদূতকে কী বলেছে জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, আমি তো বললাম সমকালীন রাজনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী চলা এই বৈঠকে বাংলাদেশের রাজনীতিসহ সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়।
বৈঠকের পর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ-জাপানের যে সম্পর্ক সেটা অনেক দিনের সম্পর্ক। জাপান আমাদের বাই লেটারেল ডোনারদের মধ্যে সবচেয়ে বড় ডোনার। আজকে (রবিবার) আমাদের দুই দেশের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক যেসব বিষয় আছে সেগুলোর উপরে আলোচনা হয়েছে।
এছাড়া প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আমলে জাপান-বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা স্মরণ করিয়ে দেন বিএনপির মহাসচিব। অন্যদিকে জাপান রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি অর্থনীতি, অবকাঠামো উন্নয়ন ও আর্ত-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বরাবরের মতোই বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।