Search
Close this search box.

মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে চতুর্থ দফায় তলব করে কড়া প্রতিবাদ

মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে চতুর্থ দফায় তলব করে কড়া প্রতিবাদ

স্টাফ রিপোর্টার – বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান গোলাগুলির ঘটনায় ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত অং চোয়ে মোয়েকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে।
তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের মাইন ও মর্টারশেল বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় রবিবার মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার উইংয়ের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক নাজমূল হুদা মিয়ানমার দূতকে বাংলাদেশের প্রতিবাদের কথা জানান।

মিয়ানমার থেকে গত এক মাসে বাংলাদেশের ভেতরে তিন দফা মর্টার এসে পড়ার প্রতিটি ঘটনায় দেশটির রাষ্ট্রদূতকে তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে চারবার তলব করা হলো। গত শুক্রবার রাতে তুমব্রু সীমান্তে মাইন ও মর্টারশেল বিস্ফোরণে শূন্যরেখায় আশ্রিত এক রোহিঙ্গা কিশোর নিহত ও পাঁচজন আহত হয়। একইদিন বিকালে তুমব্রু সীমান্তের বিপরীতে শূন্যরেখার ৩৫ নম্বর পিলারের কাছাকাছি জায়গায় স্থলমাইন বিস্ফোরণে অথোয়াইং তঞ্চঙ্গ্যা নামের বাংলাদেশি এক তরুণের বাঁ পায়ের গোড়ালি উড়ে যায়।

মিয়ানমারের বাংলাদেশ সীমান্তলাগোয়া রাখাইন প্রদেশে স্বাধিকারকামী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির সঙ্গে লড়াই চলছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর। শনিবারও সীমান্তের ওপারে রাখাইনে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। এর আগে ৯ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার থেকে ছোড়া একটি গুলি তুমব্রু বাজারের পাশে কোনারপাড়ায় এক কৃষকের বাড়ির আঙিনায় এসে পড়ে। এর আগেও বাংলাদেশের ভূখণ্ডে মিয়ানমারের হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া দুটি গোলা পড়েছিল। এসব ঘটনায় দফায় দফায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানায় ঢাকা। সবশেষ রবিবার চতুর্থ দফায় প্রতিবাদ জানালো বাংলাদেশ।

এ মুহূর্তে মিয়ানমার সীমান্তে সেনা মোতায়েন নিয়ে সরকার কিছু ভাবছে না বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম। রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব এবং দেশের এজেন্সিগুলোকে নিয়ে বৈঠকের পর বিকেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব তথ্য জানান তিনি।

মো. খুরশেদ আলম বলেন, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমারের গোলাগুলির বিষয়ে দেশের সংশ্লিষ্ট সব এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে সরকার। পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও কোস্টগার্ডকে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। এ মুহূর্তে সীমান্তে সেনা মোতায়েন নিয়ে কিছু ভাবছে না সরকার।

ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব বলেন, আজ (রবিবার) একটি উচ্চ পর্যায়ের মিটিং করেছি সবাইকে নিয়ে। বাংলাদেশের যত এজেন্সি আছে, তাদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি। আমরা বিজিবি ও কোস্টগার্ডকে বলে দিয়েছি, বর্ডারে সজাগ থাকতে। রি-এনফোর্সমেন্ট যেখানে যতটুকু লাগে, করবে। সাগর দিয়ে বা অন্য জায়গা দিয়ে কোনো রোহিঙ্গা যাতে প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে আমরা সতর্ক দৃষ্টি রাখার অনুরোধ করেছি। সাংবাদিকরা ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিবের কাছে জানতে চান সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকার সীমান্তে সেনা মোতায়েনের কথা ভাবছে কি না। জবাবে তিনি বলেন, এ মুহূর্তে সরকার ভাবছে না।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ