স্টাফ রিপোর্টার-বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ১১ নভেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুব মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। এই মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ শনিবার (২২ অক্টোবর) এই তথ্য জানিয়েছেন।
যুব মহাসমাবেশ উপলক্ষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) অডিটোরিয়ামে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ও সব শাখার সমন্বয়ে বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। সঞ্চালনা করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা জানেন বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় যেতে চায়। ওদের এই নৈরাজ্যের জবাব সংগঠন হিসাবে যে যুবলীগ একাই দিতে পারে তা আগামী ১১ নভেম্বর এই যুব মহাসমাবেশের মাধ্যমে আমরা প্রমাণ করবো ইনশাআল্লাহ। আপনাদের কাছে আমার প্রত্যাশা যে আপনারা এই মহাসমাবেশকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে আপনাদের সর্বোচ্চ সাধ্য দিয়ে ১১ নভেম্বরকে সফল করবেন। যুবলীগকে সফল করার দায়িত্ব এখন আপনাদের কাঁধে। আমি জানি আপনারা পারবেন। যুবলীগ অসাধ্য সাধন করা এক সংগঠন।
এছাড়াও তিনি আসন্ন সমাবেশকে সফল করতে ১০টি উপকমিটির নাম ঘোষণা করেন। এগুলো হলো- দফতর উপকমিটি, সাংস্কৃতিক উপকমিটি, স্বাস্থ্য উপকমিটি, তথ্য-প্রযুক্তি উপকমিটি, শৃঙ্খলা উপকমিটি, প্রচার-মিডিয়া উপকমিটি, প্রকাশনা উপকমিটি, অভ্যর্থনা উপকমিটি, আপ্যায়ন উপকমিটি, মঞ্চ ও সাজ-সজ্জা উপকমিটি।
সঞ্চালকের বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার আদর্শ যুবলীগের নেতাকর্মীরা ধারণ করেন। প্রতিটি জেলা-মহানগর-উপজেলা-পৌরসভায় যে শক্তিশালী নেতৃত্ব রয়েছে আপনাদের নিয়েই আগামী ১১ নভেম্বরে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের যুব মহাসমাবেশ সফল করবো। এই মহাসমাবেশের মাধ্যমে এই বাংলার মাটিতে সন্ত্রাস-জামায়াত-বিএনপির কবর রচনা হবে।
বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন জেলা-মহানগর-উপজেলা থেকে আসা সব শাখার নেতারা।