Search
Close this search box.

বাংলাদেশের সামনে কঠিন পথ

বাংলাদেশের সামনে কঠিন পথ

মিথুন আশরাফ – সুপার টুয়েলভে নেদারল্যান্ডসকে ৯ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপে শুভ সূচনা করতে পেরেছে বাংলাদেশ। এই একটি জয়েই বিশ^কাপে গ্রুপ পর্ব বা প্রথম রাউন্ডের পর কোন রাউন্ডে প্রথমবারের মতো জিতে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশের সামনে কঠিন পথ আছে।

এরপর যে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সকাল ৯ টায় দক্ষিণ আফ্রিকা, ৩০ অক্টোবর ব্রিসবেনে জিম্বাবুয়ে, ২ নভেম্বর এ্যাডিলেডে ভারত ও একই ভেন্যুতে ৬ নভেম্বর পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়াই করবে বাংলাদেশ। নেদারল্যান্ডস তুলনামুলক দুর্বল দলই। এই দলের বিপক্ষে জিততেই যেভাবে হিমশিম খেয়েছে বাংলাদেশ, তাতে করে সামনের প্রতিপক্ষগুলোকে কিভাবে সামাল দেবে? জয় দিয়ে বিশ^কাপ শুরু করায় আনন্দ হচ্ছে। উল্লাসও হচ্ছে। সেই উল্লাস এখন টিকিয়ে রাখাই আসল কাজ হয়ে দাড়াচ্ছে। তা কী পারবে সাকিববাহিনী?

ব্যাটিংয়ে প্রথম ম্যাচে খুব ভালো কিছু করা যায়নি। প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস হওয়ায় বাংলাদেশ সহজেই ১৭০ রানের মতো করে ফেলবে, সেই আশা করা হয়েছিল। কিন্তু ১৪৪ রানের বেশি করা যায়নি। একজন ব্যাটসম্যানও হাফসেঞ্চুরি করতে পারেননি। আফিফ হোসেন সর্বোচ্চ ৩৮ রান করতে পারেন। সেই তুলনায় নেদারল্যান্ডসের অধিনায়ক কলিন অ্যাকারমেন অনেক ভালো ব্যাটিং করেছেন। ৬২ রান করেছেন। বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে তাসকিন আহমেদ (৪/২৫) ছাড়া আর কোন বোলারকে সেভাবে জ¦লে উঠতে দেখা যায়নি। নেদারল্যান্ডস অনভিজ্ঞ দল। তাই ১৩৫ রানে আটকে রাখা গেছে। প্রতিপক্ষ শক্তিশালী হলে কী আর এমনটি করা সম্ভব হতো? সেই প্রশ্নও থাকছে।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশ খুব ভালো দল হয়ে উঠতে পারেনি। তবে একটি জয় অনেক কিছু বদলে দিতে পারে। এশিয়া কাপ ও নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশিয় সিরিজে সব ম্যাচ হারের পর প্রস্তুতি ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছেও হার হয়েছে। তাতে ক্রিকেটারদের মানসিকতা দুর্বল হয়ে পড়েছিল। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয়ে তা আবার ফিরে পাওয়া যাচ্ছে। এখন তা কাজে লাগিয়ে সামনের কঠিন পথ পাড়ি দেয়া গেলেই হলো।

বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বেই প্রথমবারের মতো বিশ^কাপের মূল পর্বে কোন ম্যাচ জেতা গেল। সাকিব বলেছেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই এ জয়টি (নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে) আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সব সংস্করণ খেলেছি। কিন্তু জিততে পারিনি এবং সেটা আমার মনের ভিতরে ছিল। (জয় পেলেও) আমরা ১০ রান কম করেছি। কিন্তু আমাদের পেসাররা যেভাবে বোলিং করেছে তা ছিল অসাধারণ। আমরা এখন সব ফরম্যাটে ফাস্ট বোলিংয়ের গুরুত্ব বুঝি। গত কয়েক বছরে আমরা প্রতিভাময় পেসার খুঁজে পেয়েছি। নতুন এসেই হাসান দুর্দান্ত করছে। গত কয়েক বছর ধরেই তাসকিনের পারফরম্যান্সে ভালো উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।’ সঙ্গে সাকিব যোগ করেন, ‘এমন একটি ভালো জয় আমাদের প্রয়োজন ছিল। আমরা দল হিসেবে খেলেছি। দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে আমি আনন্দিত।’ এই আনন্দ এখন সামনের পথ পরিস্কার করতে পারলেই হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ