Search
Close this search box.

সরকারের সন্ত্রাসদমন কার্যক্রম বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত- আইজিপি

স্টাফ রিপোর্টার-   পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন প্রথম ক্ষমতা গ্রহণ করেন, তখন আপনারা দেখেছেন পাহাড়ি এলাকায় কী অবস্থা ছিল। সেখানে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চলতো। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে অভিযান চালানো হয়। পাশাপাশি তাদের আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগও দিয়েছি। এরপর থেকেই পাহাড়ি এলাকায় শান্তির সুবাতাস বইছে।

তিনি বলেন, এই সরকারের সময় যেভাবে সন্ত্রাসী কার্যক্রমকে দমন করা হয়েছে বা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে তা বিশ্বব্যাপী আজ প্রশংসিত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, কমিউনিটি পুলিশের সদস্যদের সমন্বয়ে আমরা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সফলভাবে দমন করেছি।

শনিবার রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটরিয়ামে কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২২ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, বাংলাদেশে কমিউনিটি পুলিশের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখন পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। এখন প্রতিমাসে সারাদেশে প্রতি থানায় ওপেন হাউস ডে পালন করা হয়। যেখানে সাধারণ মানুষ পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন, তাদের সমস্যা তুলে ধরেন। এতে করে সাধারণ মানুষ থানাগুলো থেকে কেমন সেবা পাচ্ছে, ওই এলাকায় কী ধরনের অপরাধ বেশি ঘটছে, কিসের জন্য এমনটি ঘটছে– সাধারণ মানুষের পরামর্শ নিয়ে পুলিশ সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

আইজিপি পুলিশের উদ্দেশে বলেন, আপনারা স্বাধীন দেশের পুলিশ। আপনারা জনগণের পুলিশ। আপনাদের দায়িত্ব জনগণকে সেবা করা। কমিউনিটি পুলিশ ও বিট পুলিশিংসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে বাংলাদেশ পুলিশ এখন জনগণের কাছাকাছি চলে গেছে। এতে করে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ দমন করা সহজ হয়ে গেছে।

২০১৩ সালে স্বল্প পরিসরে পুলিশ সদর দফতরের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) অপারেশনের অধীনে পৃথক শাখা হিসেবে কাজ শুরু করেছিল কমিউনিটি পুলিশিং। ২০১৪ সালে একজন সহকারী মহাপরিদর্শকের (এআইজি) তত্ত্বাবধানে পাবলিক সেফটি অ্যান্ড প্রিভেনশন (পিএস অ্যান্ড সিপি) শাখার কার্যক্রম শুরু হয়। এটিই এখন কমিউনিটি অ্যান্ড বিট পুলিশিং নামে কার্যক্রম চালাচ্ছে।

আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের সব জেলা, রেলওয়ে, হাইওয়ে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ও মেট্রোপলিটন ইউনিটে কমিউনিটি পুলিশিং এর চলমান কার্যক্রমকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী মোট ৫৪ হাজার ৭১৮টি কমিটিতে ৯ লাখ ৪৭ হাজার ৭০১ জন কমিউনিটি পুলিশিং সদস্য কাজ করছে।

আইজিপি বলেন, সারাদেশে ছয় হাজার ৫৩৩ বিটে দায়িত্ব পালন করছে কমিউনিটি পুলিশ। এছাড়া ২০২১-২০২২ পর্যন্ত সময়ে সারাদেশে মোট চার হাজার ৩৫৬টি ওপেন হাউজ ডে এর পর এক লাখ ৮৫ হাজার ৩৪৮টি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অপরাধ প্রতিরোধমূলক (বিট পুলিশিং) ৩৩ হাজার ৮২টি সভা করা হয়েছে।

কমিউনিটি পুলিশিং ডে’র মুখ্য আলোচক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, কমিউনিটি পুলিশিং এর বিষয়টি নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে তাহলে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদে জড়িত হবে না তারা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ