Search
Close this search box.

রোহিঙ্গা মাদক কারবারিরাই গুলি ছুড়েছে- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার- বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডে রোহিঙ্গা মাদক কারবারিদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

মঙ্গলবার রাজধানীর মিরপুরস্থ ফায়ার সার্ভিস ট্রেনিং কমপ্লেক্সের প্যারেড গ্রাউন্ডে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ-২০২২ এর অনুষ্ঠানে শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, অভিযানের জায়গাটি নোম্যান্সল্যান্ড। সেখানে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অবস্থান বলে জানা গেছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার খবরের ভিত্তিতে (আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়েছিল। দুর্ঘটনাবশত একজন অফিসার সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। তিনি কীভাবে গুলিবিদ্ধ হলেন এবং কোন মাদক কারবারিরা তাকে গুলি ছুড়লো, এসব বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করছি। এ ঘটনার সত্যতা উদঘাটন করে আমরা পরে জানাবো। যখন এ ধরনের অভিযানে যাওয়া হয় তখন গোয়েন্দা সংস্থার পরিকল্পনামাফিক অভিযান হয়ে থাকে বলেও মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

এর আগে সোমবার দিনগত রাত ১টায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় র‌্যাব ও ডিজিএফআই’র মাদকবিরোধী যৌথ অভিযান পরিচালনাকালে মাদক চোরাচালানকারীদের গুলিতে দায়িত্বরত অবস্থায় ডিজিএফআইয়ের একজন কর্মকর্তা দেশের জন্য আত্মত্যাগ করে শহীদ হন। এসময় আহত হন একজন সদস্য।

এদিকে সক্ষমতা বাড়ানোর কারণে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ঘুরে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, একসময় দমকল বলে অবহেলা করলেও এখন সবাই ফায়ার সার্ভিসকে দুঃসময়ের বন্ধু মনে করে।

এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফায়ার ফাইটাররা এখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জানমাল রক্ষার দায়িত্ব পালন করছেন।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় প্রতিটি উপজেলায় একটি করে ফায়ার স্টেশন নির্মাণের কাজ চলছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারে আসার সময় দেশে ফায়ার স্টেশনের সংখ্যা ছিল মাত্র ২০৪টি। বর্তমানে দেশে চালু ফায়ার স্টেশন হলো ৪৯১টি। এই সরকারের সময়ে দেশে নতুন ২৮৭টি ফায়ার স্টেশন চালু করা হয়েছে। আগামী অর্থবছরের মধ্যে আরও ৫২টি নতুন ফায়ার স্টেশন চালু করা হবে। তখন ফায়ার স্টেশনের মোট সংখ্যা দাঁড়াবে ৫৪৩টি। ২০০৯ সালে এই প্রতিষ্ঠানের মোট জনবল ছিল মাত্র ছয় হাজার ১৭৫ জন। বর্তমানে এই জনবল হয়েছে ১৪ হাজার ৪৪৩ জন। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে জনবলের সংখ্যা হবে প্রায় ১৬ হাজার।

আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফায়ার একাডেমি’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হলে এখানে একসঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের এক হাজার সদস্যকে উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়া যাবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানান, বহুতল ভবনে অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার কাজের জন্য ২৮টি উঁচু মইয়ের গাড়ি আনা হয়েছে। এছাড়া উঁচুতে আগুন নেভানোর জন্য ফায়ার সার্ভিসের যান্ত্রিক বহরে যোগ করা হয়েছে ৬৮ মিটারের লেডার সংবলিত গাড়ি। ফায়ার সার্ভিসের অ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যা ৬৩টি থেকে ১৯০টিতে উন্নীত করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন। ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ অতিথি ছিলেন সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী।

এবারের ফায়ার সার্ভিস সপ্তাহের প্রতিপাদ্য হলো ‘দুর্ঘটনা-দুর্যোগ হ্রাস করি, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ