স্টাফ রিপোর্টার – মাদক বিরোধী অভিযানের সময় র্যাব-সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে এক ডিজিএফআই কর্মকর্তার মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার রাতে আইএসপিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বান্দরবনের তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় র্যাব এবং ডিজিএফআই যৌথভাবে মাদক বিরোধী অভিযান চালায়। এসময় মাদক চোরাচালানকারীদের গুলিতে দায়িত্বরত অবস্থায় ডিজিএফআইয়ের একজন কর্মকর্তা মারা যান। তিনি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা ছিলেন। এ ঘটনায় র্যাবের একজন সদস্য আহত হয়েছেন।
এদিকে র্যাবের সঙ্গে সশস্ত্র চোরাকারবারি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর গোলাগুলিতে তুমব্রু সীমান্ত এলাকাসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সীমান্ত জুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) টান্টু সাহা বলেন, ‘যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র চোরাকারবারি সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি হয়েছে। বিমান বাহিনীর একজন অফিসারের মৃত্যু হয়েছে। সীমান্ত এলাকা জুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আহত র্যাব সদস্যকে কক্সবাজার হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে তাকে হেলিকাপ্টারে ঢাকায় আনা হয়।
সূত্র জানায়, বর্তমানে ঢামেকেই তার চিকিৎসা চলছে। তবে শারীরিক অবস্থা আগের থেকে কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
জানা গেছে, গুলিবিদ্ধ সোহেল বড়ুয়া পুলিশ থেকে প্রেষণে র্যাবে যুক্ত হন। তিনি র্যাব-১৫ তে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের আকবরশাহ থানা এলাকায়। তার বাবার নাম অশোক কুমার বড়ুয়া। সোহেল দুই সন্তানের জনক।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়াও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে আহত হওয়া র্যাব সদস্য সোহেল বড়ুয়া (২৭) শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে তার অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা।
ঢামেক হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের ব্লু ইউনিটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. ফজলে এলাহী (মিলাদ) বলেন, আমরা ভোর ৫টার দিকে সোহেল বড়ুয়ার অপারেশন করেছি। তার মাথায় অনেক রক্ত জমাট ছিল। সেটি অপারেশন করে বের করা হয়েছে। সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। রিপোর্টে দেখা গেছে তার অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। এখন আগের চেয়ে অনেক ভালো আছেন এবং কথা বলতে পারছেন। তিনি এখন শঙ্কামুক্ত। তাকে দু’একদিনের মধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলে জানান তিনি।
সোহেল বড়ুয়ার বড় ভাই জীবন বড়ুয়া বলেন, ভোরে আমার ভাইয়ের অপারেশন হয়েছে, এখন সে কথা বলতে পারছে। আমাদের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার আকবরশাহ থানার বিশ্ব কলোনি এলাকায়।