স্পোর্টস ডেস্ক – বিশ্বকাপ জিতে শিরোপা নিয়ে দেশে ফিরেছে আর্জেন্টিনা। তাতে করে উৎসবে ভাসে আর্জেন্টিনা। বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বরণ করে নেয় আর্জেন্টাইনরা।
আর্জেন্টিনা ফুটবলাররা যখন শিরোপা নিয়ে দেশের মাটিতে পাঁ রাখেন তখন থাকে গভীর রাত। তবুও ভক্তরা উন্মাদ। আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ে। বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের সামনে পেয়ে উৎসবে মাতে।
লিওনেল মেসি, ডি মারিয়া, এমি মার্টিনেজদের বরণ করে নিতে আর্জেন্টিনার প্রতিটি মানুষ অপেক্ষায় ছিলেন। সেই অপেক্ষা শেষ হয়েছে। বিশ্ব জয়ের ট্রফি নিয়ে বুয়েন্স আইরেসে পা রাখে লিওনেল মেসি, স্কালোনির দল। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বরণ করে নিতে আর্জেন্টিনার রাস্তায় মানুষের ঢল নামে। বিমানবন্দর থেকেই শুরু হয় উৎসব। যখন মেসিদের বহনকারী বিমান আকাশ দিয়ে বিমানবন্দরের দিকে যেতে থাকে, তখনই চিৎকারে ফেটে পড়ে আর্জেন্টিনা।
ট্রফি নিয়ে শুরুতেই বিমান থেকে নামেন মেসি ও কোচ লিওনেল স্কালোনি। এরপর একে একে ঘরের মাটিতে পা রাখেন বাকিরা। বিমানবন্দর থেকে ছাদখোলা বাসে করে শহর শোডাউন করেন আর্জেন্টিনা ফুটবলাররা। বাসের চার পাশ ঘিরে থাকে ভক্তরা। জয়ের গান শোনা যায়। বাজে ঢামাঢোল। বুয়েন্স আইরেস যেন উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়।
সেই ১৯৮৬ সালে সবশেষ বিশ^কাপ জিতেছিল আর্জেন্টিনা। এরপর দীর্ঘ ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনায় আবার ফিরেছে বিশ্বকাপের ট্রফি। যে ট্রফি নিয়ে দিয়াগো ম্যারাডোনা ১৯৮৬ সালে বুয়েন্স আইরেসে ফিরেছিলেন। সেই ট্রফি নিয়ে এবার আসেন লিওনেল মেসি।
গত রবিবার রাতে লুসাইল স্টেডিয়ামে ফ্রান্সের বিপক্ষে নির্ধারিত সময়ের খেলায় ৩-৩ গোলে ড্র করার পর টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জিতে বিশ^চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। ৭৫ মিনিট পর্যন্ত একপেশে ফাইনাল হঠাৎ করেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে পরিণত হয়। রোমাঞ্চকর ১২০ মিনিট দেখার মিলে। উত্তেজনা, রুদ্বশ্বাস ম্যাচ দেখার মিলে। ইতিহাসের সেরা ফাইনাল ম্যাচ হয়। বারবার বাঁক-বদল হয় খেলায়। অবশেষে লিওনেল মেসির হাতে উঠে আরাধ্য সেই সোনালি ট্রফি।
এই উৎসব রাঙিয়ে দিতে দেশটির সরকারও একদিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। লিওনেল মেসিরা ট্রফি নিয়ে ঘরে ফিরেছেন, এই আনন্দ ছুটিতে থেকেই উদযাপন করেন আর্জেন্টাইনরা। এর আগে টুইটারে দেওয়া ওই বার্তায় প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ বলেন, খেলোয়াড় ও প্রযুক্তিগত দলকে ধন্যবাদ। তারা এমন উদাহরণ সৃষ্টি করেছে যে, আমাদের হাল ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়, আমাদের মহৎ মানুষ এবং একটি দুর্দান্ত ভবিষ্যৎ আছে। পরে টুইটারে দেওয়া দ্বিতীয় বার্তায় ফার্নান্দেজ লিখেছেন, সর্বদা এক সঙ্গে, সর্বদা ঐক্যবদ্ধ। আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। অন্য কোনো কথা নেই।