Search
Close this search box.

হ্যাটট্রিক করতে চলেছেন ও. কাদের?

বিএনপি নেতৃত্বের পতন চায় দেশের জনগণ - ও. কাদের

স্টাফ রিপোর্টার – আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা দশমবারের মতো দলীয় প্রধান নির্বাচিত হবেন এটা প্রায় নিশ্চিত। তবে দলটির সাধারণ সম্পাদক কে হবেন সেদিকেই সবার দৃষ্টি থাকছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরই যে আবার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হতে পারেন, তা এখন সবার মুখে মুখে উচ্চারিত হচ্ছে। আর যদি ওবায়দুল কাদেরই হন সাধারণ সম্পাদক, তাহলে হ্যাটট্রিক করবেন তিনি। টানা তৃতীয়বারের মতো এ পদে আসীন হবে তিনি।

সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে অনেক জল্পনা হয়েছিল। দু’তিনমাস যাবত এ নিয়ে অনেক আলোচনাও হয়েছে। তবে যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নভেম্বরের শেষদিকে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলে’র টিউবের কাজ সমাপ্তির উদযাপন অনুষ্ঠানে কাদেরকে নিয়ে বলেছিলেন, সব থেকে বেশি ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য হচ্ছে আমাদের সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। কারণ, তার মতো এতো কর্মঠ এবং ডায়নামিক মন্ত্রী খুব কমই আছে। একদিকে তিনি পার্টির সেক্রেটারি, আবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তাকে পার্টির সেক্রেটারি করার পর আমার কাজের চাপ অনেক কমে গেছে। প্রধানমন্ত্রী এমন কথা বলার পর এ পদ নিয়ে আলোচনা কমে গেছে। ওবায়দুল কাদেরই যে সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন, তা নিয়েই আলোচনা চলছে।

আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল শনিবার। এ সম্মেলন থেকেই দলের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে। তবে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে এবারও তেমন কোনো পরিবর্তন যে আসছে না তা আভাস দিয়ে ফেলেছেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তিনি বলেছেন, সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় সভানেত্রী হিসেবে নতুন কমিটি ঘোষণা করবেন। যোগ্যতার প্রমাণ দেখানোয় এবারও কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ওবায়দুল কাদের আসতে পারেন।

প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ টানা ১৪ বছর ক্ষমতায় আছে। দক্ষিণাঞ্চলে পদ্মা সেতুসহ সারাদেশের উন্নয়ন দেখে আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আনবে জনগণ। আওয়ামী লীগের এই নতুন কমিটি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে। নতুন কমিটির দায়িত্বই হবে সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে আওয়ামী লীগকে জয়ী করার জন্য দলের সাংগঠনিক শক্তি গড়ে তোলা। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও আন্দোলনের নামে নাশকতা প্রতিহত করতে সক্ষম হবে এই কমিটি।

রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বিকেলে সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে (ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে হবে) নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ২০১৬ সাল থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর তিনি দীর্ঘদিন গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। এরপর করোনাভাইরাস মহামারিতে ঘরের বাইরে তার তৎপরতা খুব একটা ছিল না। এ জন্য এই পদে পরিবর্তন আসছে বলেই দলের নেতাদের মধ্যে দু’তিন মাস আগেও বেশ আলোচনা ছিল। কিন্তু সম্মেলন সামনে রেখে তিনি গত দুই মাস জেলায় জেলায় দলীয় কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন। এক দিনে একাধিক জেলা সম্মেলনেও অংশ নিয়েছেন। তার অনুসারীদের মধ্যে এমন ধারণা জন্মেছে যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও বিরোধী দলের আন্দোলন মোকাবিলায় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি থেকে যাচ্ছেন। এছাড়া তিনি এখন পুরোপুরি সুস্থ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ