Search
Close this search box.

বিএনপির ‘রেইনবো নেশন’ যুদ্ধাপরাধীদের স্বীকৃতির দলিল – আমু

বিএনপির ‘রেইনবো নেশন’ যুদ্ধাপরাধীদের স্বীকৃতির দলিল - আমু

স্টাফ রিপোর্টার – আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, বিএনপি ঘোষিত ‘রেইনবো নেশন’ ও ‘ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন কমিশন’-এর লক্ষ্য একই। দালাল আইন বাতিল করে জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনীতি ও সমাজে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিল। বিএনপির রেইনবো নেশনের অর্থই হচ্ছে পরাজিত শক্তি ও খুনি-অপরাধীদের আরেক দফা রাষ্ট্র ও সমাজে স্বীকৃতিদান।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু জোটের পক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। তার নিউ ইস্কাটনের বাসায় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
১৪ দল কখনোই একাত্তর ও পঁচাত্তরের খুনিদের সঙ্গে রিকনসিলিয়েশনের নামে রেইনবো নেশনের মতো সুচতুর পদক্ষেপ গ্রহণ করে না দাবি করে আমির হোসেন আমু বলেন, এই দুটি প্রশ্ন বহু আগেই মিটমাট হয়ে গেছে। আবার নতুন করে করার কোনো প্রয়োজন নেই।

তিনি বলেন, রাষ্ট্র ও জনগণের বিরুদ্ধে বিএনপির এই রাজনীতি জনগণ অতীতে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে, এবারও করবে। তাদের সঙ্গে যারা যুগপৎ আন্দোলনে শরিক হয়েছে, তারাও আমাদের অজানা নয়। খুবই ক্ষুদ্র স্বার্থে এক হয়েছে। দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এর থেকে দূরে থাকবেন বলে আশা প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা।

বিএনপি বর্তমান সরকারের মৌলিক সংশোধনের কথা বলে তারা অসাংবিধানিক পন্থায় ক্ষমতা দখলকে নিষ্কণ্টক করতে চায় বলে দাবি করেন আমির হোসেন আমু। ১৪ দল জোটগতভাবে মাঠে কর্মসূচি পালন করেছিল, আগামীর কর্মসূচিও সেভাবে হবে কি না–এমন প্রশ্নের জবাবে জোট সমন্বয়ক বলেন, আমরা আমাদের রাজনৈতিক ধারা নিয়ে মাঠে থাকব। এই ধারার বিপরীত অবস্থানে বিরোধিতা করব। তারা এর আগে ১০ দফা, ১৪ দফাসহ বিভিন্ন ধরনের দফা দিয়েছিল, এগুলো নতুন কিছু নয়। তাদের এ আন্দোলন নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই।

রাষ্ট্র সংস্কার রেইনবো নেশনের নামে রাজাকার, জঙ্গি, জামায়াত ও যুদ্ধাপরাধীদের ঐক্যের কালো দলিল বলে মনে করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) (একাংশ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, কালো দলিল যারা সমর্থন করছে, তারা আর যাই হোক বাম বা প্রগতিশীল ঘরানার লোক হতে পারে না। তারা বিচ্যুত। ২৭ দফা ও ১০ দফা কার্যত বাহাত্তরের সংবিধান বানচাল করার সুকৌশল প্রস্তাব। যারা এটা সমর্থন করে, তারা গণতান্ত্রিকও নয়, প্রগতিশীলও নয়।

জামায়াত, জঙ্গি, যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে রাজনৈতিক পার্টনারশিপ থাকবে ততদিন পর্যন্ত ২৭ কেন, ২৭০ দফা দিলেও আমলযোগ্য নয় বলে মনে করেন ইনু। এখানে রাষ্ট্র মেরামতের নামে কার্যত বাংলাদেশে রাজাকারদের আমদানি করার চক্রান্ত শুরু হয়েছে। সেই আন্দোলনে যদি কোনো রাজনৈতিক নেতা, তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা হোন কিংবা কোন বামপন্থি হোন, তিনি বাংলাদেশের রাজনীতির কুলাঙ্গার বটে। তার সঙ্গে লেনদেন হতে পারে না।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, ১৪ দল মহানগর সমন্বয়ক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ওয়াজেদুল ইসলাম খান প্রমুখ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ