Search
Close this search box.

শীতে কাঁপছে সারা দেশ, ঢাকায় তাপমাত্রা ১২.৭, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যশোরে ৯

শীতে কাঁপছে সারা দেশ, ঢাকায় তাপমাত্রা ১২.৭, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যশোরে ৯

স্টাফ রিপোর্টার – পৌষের শীতে কাঁপছে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশ। দিন ও রাতে শীতের তীব্রতায় জবুথবু ছিন্নমূলসহ সব শ্রেণির মানুষ। ঘড়ির কাঁটা বেলা ১২টা অতিক্রম করলেও সূর্যের দেখা মিলছেনা। বৃহস্পতিবার সকাল ছটায় ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা সর্বনিম্ন ছিল ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন তথ্য দেয়া হয়েছে। আগের দিন (বুধবার) ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস; আর সর্বনিম্ন ছিল ১৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কনকনে শীতে বিপর্যস্ত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এ জেলার জনজীবন। যশোর বিমান বাহিনীর আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, যশোরে বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি সপ্তাহে জেলায় ৯ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে।

দেশের আট জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, নীলফামারী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এ ধারা দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া, সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

দিন ও রাতের তাপমাত্রা পার্থক্য হ্রাসের কারণে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে ২৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোথাও বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়নি। আগামী তিন দিনে দেশের আবহাওয়ায় সামান্য পরিবর্তন হতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়ার কারণে এ জেলায় অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত। এতে চরম দুর্দশায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে কষ্ট পাচ্ছেন ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। অনেককে শীত নিবারণে তাই আগুন জ্বালিয়ে তাপ নিতেও দেখা যায়। আর যারা কাজে বেরিয়েছেন তাদের দুর্দশা আরও বেশি।

আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, এমন কুয়াশা আরো দু-এক দিন থাকবে। একটানা হয়তো নাও থাকতে পারে। তবে তাপমাত্রার পারদ নিম্নমুখী থাকবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার দূরত্ব কমায় শীত বাড়ছে। শীত বাড়ায় সকালে কাঁপতে কাঁপতে স্কুলমুখী হয়েছে স্কুল শিক্ষার্থীরা। নগরীর শ্রমজীবী আর পেশাজীবীরাও গায়ে মোটা কাপড় জড়িয়ে ছুটছেন গন্তব্যে।

এদিকে সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমে সর্বনিম্ন। এদিন বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ১১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবার (৪ জানুয়ারি) শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। এছাড়াও কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ঘন কুয়াশার কারণে বুধবার (৪ জানুয়ারি) বিকেল পর্যন্ত রাজধানীসহ দেশের অনেক এলাকায় সূর্যের দেখা মেলেনি। দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে আসায় মাঝারি থেকে তীব্র শীত অব্যাহত থাকার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়াবিদ আবদুর রহিম বলেন, শীতের তীব্রতা আরো দু-এক দিন থাকতে পারে। শনিবার থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। তবে সেটা স্থায়ী হবে না, দু-এক দিন পর হয়তো আবার পরিস্থিতি এমনই থাকবে।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ