স্টাফ রিপোর্টার – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিগত ১৪ বছরে বাংলাদেশকে শ্রম থেকে প্রযুক্তি নির্ভর অর্থনীতির দেশে রূপান্তরিত করেছেন। বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে ঢাকার লিট ফেস্টের দ্বিতীয় দিনে ‘ইনোভেশন টক’ বিষয়ক সেশনে বক্তৃতাকালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এসব কথা বলেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশের সাফল্যের বর্ণনা করে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ১৪ বছর আগে দেশে বিদ্যুতের অধীনে ছিলো মাত্র ১৪ শতাংশ মানুষ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারি ছিলে মাত্র ৫০ লাখ। আইসিটি বলে কিছুই ছিল না। কিন্তু এখন কম্পিউটার ও আইসিটিতে ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে। শেরপুরের কাকরকান্দা গ্রাসে বসেই এইচএসসি’র ছাত্রী তৃষ্ণা আইটি আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। বর্তমানে শতভাগ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় এবং ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে আইসিটি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা ও স্কুলে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন সরকারের ‘অনন্য দুই উদ্ভাবনী উদ্যোগ’ বলে উল্লেখ করেছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক।
তিনি বলেন, আইসিটি বিভাগের তরুণ প্রোগ্রামারদের তৈরি ‘সুরক্ষা’ অ্যাপ করোনার টিকা ব্যবস্থাপনা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। এছাড়াও ক্যাশলেস কেনাকাটার ‘ডিজিটাল পশুর হাট’ এবং ডিজিটাল সার্ভিস সেন্টার স্থাপনের মাধ্যমে গ্রাম-শহর; ধনী-
দরিদ্র এবং নারী পুরুষের বৈষম্য ও দূরত্ব কমেছে। সময়, ভোগান্তি ও খরচ কমেছে। তিনি বলেন, এবার ২০০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত বুদ্ধিদীপ্ত ,টেকসই , সাশ্রয়ী, উদ্ভাবনী, জ্ঞান ও গবেষণার সম্মিলনে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি আমরা।
বিষয়ভিত্তিক এই সেশনে তরুণ বাংলাদেশী অণুজীব বিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহা অংশগ্রহণ করেন। এসময় তিনি নিজের নানা অভিজ্ঞতা তুলে ধরার পাশাপাশি আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে নানা উদ্ভাবনী বিষয় নিয়ে আলাপ করেন। পরে ঢাকা লিট ফেস্টের দশম এই আসরে আড্ডায় প্রতিমন্ত্রী পলক ও বিজ্ঞানী সেঁজুতি বিভিন্ন দেশ থেকে আগত উপস্থিত দর্শক ও শ্রোতাদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন।