স্টাফ রিপোর্টার – শৈত্যপ্রবাহে গত কয়েক দিন দুর্বিষহ অবস্থা হয়েছে। শীতের তীব্রতায় ভুগেছে রাজধানীবাসী। মোটা কাপড় গায়ে দেওয়ার পরও শীত মানতে চাইছিল না। কুয়াশায় ঢাকা ছিল দেশ। সোমবার কুয়াশা কাটিয়ে রো ঝলমলে দিনের দেখা মিলেছে। রোদের হাসি মিলেছে।
এর আগেই অবশ্য আবহাওয়া অফিস জানিয়েছিল, দেশের বিভিন্ন এলাকায় বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহ সোমবারের মধ্যে কমে আসবে। এমনটাই ঘটেছে রাজধানীসহ কয়েকটি জেলায়। যদিও চুয়াডাঙ্গাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। এ ছাড়া মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও রেকর্ড করা হয়েছে।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সোমবার তাপমাত্রা নেমে দাঁড়ায় ৭ ডিগ্রিতে। উত্তরের আবহাওয়ার বিপরীত চিত্র রাজধানীতে। তাপমাত্রা বেড়েছে প্রায় ৪ ডিগ্রি। এর ফলে বাইরে আনাগোনা বেড়েছে মানুষের। কেনাকাটায়ও মজেছেন অনেকে।
রাজধানী ঢাকায় রবিবার ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে তাপমাত্রা। তার আগের দিন ছিল ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি। এরপর আজ ভোরে কুয়াশাসহ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ২ থাকলেও সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে থাকে। দুপুর ১২টায় ২৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আকাশে দেখা মিলেছে সূর্যের। শীতের প্রকোপও কমেছে দ্রুতই।
গত বুধবার রাত থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ দেখা দেয়। এরপর গত চারদিনে প্রায় পুরো দেশ শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়ে। আবহাওয়া দপ্তর থেকে বলা হয়েছিল, শনিবার কমতে পারে শৈত্যপ্রবাহের দাপট। কিন্তু তা হয়নি। বরং শনিবারও সারাদেশে তা অব্যাহত ছিল। এতে মানুষ ঘরবন্দি হয়ে পড়ে। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হননি। বেশি সমস্যায় পড়েন দিনমজুর। নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েন বিপাকে। এর আগে ২০১৮ সালে এরকম শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিয়েছিল।