স্টাফ রিপোর্টার- ঢাকার দুর্ধর্ষ মোটরসাইকেল চোর জসিম ওরফে সোহাগ ওরফে বাইক জসিমকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার গভীর রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানার মহজমপুর গোবিন্দপুরের লাধুরচর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও চার সহযোগীকে গ্রেফতারসহ তিনটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ জসিম উদ্দিন মোল্লা এসব তথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃত জসিম মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার বেলদারহাট গ্রামের মো. ছোবহান বেপারীর ছেলে। গ্রেফতারকৃত অপর আসামীরা হলেন মো. হারুন (২৮), আশিক বিশ্বাস (১৯), রাজীব (২০) ও মহসীন (২০)।
ডিসি জসিম বলেন, গত ২২ই ডিসেম্বর মিরপুর মডেল থানাধীন পাইকপাড়া এলাকার একটি বাসার গ্যারেজ থেকে দুইটি মটর সাইকেল চুরি হয়। পরদিন এ সংক্রান্তে মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। মামলার তদন্তকালে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষন করে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসমীদের শনাক্ত ও গ্রেফতার করা হয়।
ডিসি জসিম জানান, গ্রেফতারকৃত বাইক জসিম পেশায় অটোরিকশাচালক। দিনে তিনি অটোরিকশা চালান আর রাতে মোটরসাইকেল চুরি করেন। তিনি মূলত রাতে বাসাবাড়ির পার্কিং-এ রাখা মোটরসাইকেলই চুরি করেন। দিনে কিংবা সড়কে চুরি করলে ধরা পড়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই রাতেই চুরি করেন জসিম। দিনে অটোরিকশা চালানোর ফাঁকে তিনি টার্গেট নির্ধারণ করেন। আর রাতে সে টার্গেট অনুযায়ী চুরি করেন।
তিনি আরও জানান, ২০১৩ সাল থেকে জসিম মোটরসাইকেল চুরি শুরু করেন।শুরুতে তার ভায়রা ভাইয়ের সাথে এই পেশায় আসেন। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে সে নিজেই একটা গ্রুপ তৈরি করে ফেলেন। বর্তমানে পাঁচজন থাকলেও তার গ্রুপে মোট ২০ জন কাজ করত। পুরো ঢাকা শহরেই তারা চুরি শুরু করে। গত ১০ বছরে ঢাকা শহরে তার গ্রুপ পাঁচ শতাধিক মোটরসাইকেল চুরি করেছে।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃত জসিমের বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় কমপক্ষে ১২টি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় গ্রেফতার হয়ে সে ২০ বার কারাগারে যান। সবশেষ তিন মাস আগে কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে আবারও মোটরসাইকেল চুরি শুরু করেন।