Search
Close this search box.

বাংলাদেশকে বিপদে ফেলবে না রাশিয়া- পররাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার- যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা রাশিয়ার জাহাজ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘রাশিয়া বাংলাদেশকে কোনো বিপদে ফেলবে না বলে আশা করছি।’ আজ বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পণ্যবাহী জাহাজ নিয়ে সরকারের মাথাব্যথা নেই। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা রাশিয়ার ৬৯টি জাহাজের কোনোটিই ভিড়তে দেবে না বাংলাদেশ।

মন্ত্রী বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা জাহাজের মালামাল দেশে আসবে, তবে দেরি হবে। এর আগে সংগঠনের নেতাকর্মীদের শপথবাক্য পাঠ করান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে সংগঠনটির বিভিন্ন শাখার পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা হয়।

আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমাদের কাছে তাজ্জব লেগেছে যে রাশিয়া জেনেশুনে নিষেধাজ্ঞা আছে—এমন জাহাজের নাম পরিবর্তন করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের পণ্য পাঠিয়েছে। আমরা এটি আশা করিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করি, রাশিয়া এখন নিষেধাজ্ঞা নেই এমন একটি জাহাজে পণ্যগুলো পাঠাবে।

আব্দুল মোমেন জানান, রাশিয়ার ৬৯টি জাহাজ যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে। এর বাইরে তাদের কয়েক হাজার জাহাজ আছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের ভালো সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, আমরা রাশিয়াকে বলেছি, তাদের যেসব জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আছে, সেগুলো ছাড়া অন্য যেকোনো জাহাজে পাঠাতে পারে। নিষেধাজ্ঞা আছে, এমন জাহাজ আমরা গ্রহণ করতে চাই না।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় থাকা উরসা মেজর নামের একটি জাহাজে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরঞ্জাম পাঠিয়েছিল রাশিয়া।

রাশিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটির গত ২৪ ডিসেম্বর মোংলা বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। তার আগেই ২০ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে জানানো হয়, জাহাজটি আসলে উরসা মেজর নয়—এটি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা স্পার্টা-৩ জাহাজ।

বিষয়টি যাচাই করে বাংলাদেশ নিশ্চিত হয়ে জাহাজটিকে বন্দরে ভিড়তে নিষেধ করে দেয়। পরে জাহাজটি পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দরে গিয়ে সরঞ্জাম খালাসের চেষ্টা করে। কিন্তু সরঞ্জাম খালাসের জন্য জাহাজটি নয়াদিল্লির অনুমতি পেতে ব্যর্থ হয়। এ অবস্থায় ১৬ জানুয়ারি ভারতের জলসীমা ছেড়ে যায় জাহাজটি। বর্তমানে জাহাজটি চীনের একটি বন্দরের উদ্দেশ্যে অগ্রসর হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ