Search
Close this search box.

জিয়াউর রহমান দরখাস্ত করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন – কাদের

স্টাফ রিপোর্টার- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছে দরখাস্ত করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন, ডকুমেন্ট আছে।

মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের জবাব দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাকশাল হলো বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ। বাকশাল কিন্তু একদল নয়, বাকশাল হচ্ছে জাতীয় দল। এটা একদল নয়, সব দল-সব মতকে নিয়ে বাকশাল।

ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে বুধবার  দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, লজ্জা করে না! জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছে দরখাস্ত করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন, ডকুমেন্ট আছে। আপনাদের প্রতিষ্ঠাতা দরখাস্ত করে যে বাকশালে যোগ দেন, সেই বাকশালকে আপনি একদল বলছেন।

তিনি বলেন, কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ; সারের দাবি করা কৃষকদের আপনারা গুলি করে মেরেছিলেন, কৃষক আপনাদের পছন্দ না। শ্রমিক আন্দোলন করেছিল মজুরির দাবিতে।

শ্রমিকদের আপনারা রোজার মাসে গুলি করে হত্যা করেছিলেন। শ্রমিক আপনাদের পছন্দ না। কাজেই কৃষক-শ্রমিকের কোনো প্রতিষ্ঠান আপনাদের পছন্দ নয়। এই নাম শুনলেই আপনাদের অন্তরজ্বালা হয়।

বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খেলা তো এখনো শুরু করিনি, মাত্র সূচনা। খেলা যখন হবে কোথায় যাবে এই গণজোয়ার! এখন নেতাকর্মীরা আছে, জনগণ নাই। পাবলিক ভালো আছে, বিএনপির মন খারাপ।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমি একটা কথা বলতে চাই, আজকে বিএনপি অভ্যুত্থানের কথা বলে। তাদের যে আন্দোলন, এটা তাদের নেতা-কর্মীদের আন্দোলন, এখানে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এ ভূখণ্ডের ইতিহাসে গণ-অভ্যুত্থান হয়েছিল বাস্তবে একটি, সেটি ৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান। ৯০-এর আন্দোলন ছিল গণ-আন্দোলন।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, তাঁরা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শুনে স্বাধীনতার গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছিলেন। দুর্ভাগ্য, আজকে বিএনপি এই দিনগুলো স্বীকার করে না। এই ঐতিহাসিক দিনগুলো পালন করে না। ৭ মার্চ, ৭ জুন, ১৭ এপ্রিল তারা পালন করে না। ১০ জানুয়ারি তারা পালন করে না। ২৪ জানুয়ারি গণ-অভ্যুত্থান দিবস ছিল স্বাধীনতার পথে চূড়ান্ত মাইলফলক। এই ঐতিহাসিক মাইলফলককেও তারা অস্বীকার করে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টিতে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিল। বিজয়ী দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার ক্ষেত্রে পাকিস্তান সরকার গড়িমসি করায় বঙ্গবন্ধু এক দফায় চলে যান। আর তা হলো স্বাধীনতা। আজকে অনেকেই স্বাধীনতার ঘোষক বলে দাবি করে। কিন্তু সেদিন স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার বৈধ অধিকার বঙ্গবন্ধু ছাড়া কারও ছিল না। অন্যরা স্বাধীনতা ঘোষণার পাঠক ছিলেন। এটা হলো বাস্তবতা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ