স্টাফ রিপোর্টার – দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সংসদীয় আসনগুলোর সীমানার খসড়া প্রকাশ করা হবে আগামী সপ্তাহে। এরপর দাবি-আপত্তি নিয়ে তা চূড়ান্ত করা হবে। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সীমানা যা ছিল, তা নিয়ে খসড়া প্রকাশ করা হবে। বিজ্ঞপ্তিতে দাবি-আপত্তির জন্য একটা সময় নির্ধারণ করা হবে। ওই সময়ের মধ্যে যেসব দাবি-আপত্তি উত্থাপিত হবে, ইতোমধ্যে অনেকেই নিজ উদ্যোগে যেসব আবেদন দিয়েছেন, সেসব আবেদন নিয়ে শুনানি অন্তে বিধি-বিধানের আলোকে আমাদের চূড়ান্ত বিভক্তি এলাকা ঘোষণা করা হবে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে কমিশন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
ইসি সচিব বলেন, দ্বাদশ নির্বাচনের পূর্ববর্তী সময়ে যেভাবে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে-অর্থাৎ এখন যেটা আছে সেটা দিয়েই আমরা খসড়া প্রকাশ করব। এরপর কারো যদি কোনো আপত্তি থাকে, সেই আপত্তি দাখিল করবে। এ ছাড়া ইতিমধ্যে আমরা ২৫টি আবেদন পেয়েছি। এগুলোসহ শুনানি হবে। এরপর চূড়ান্ত হবে কয়টা আসনের সীমানা পরিবর্তন হচ্ছে।
খসড়া কবে নাগাদ প্রকাশ করা হবে- এ বিষয়ে বলেন, খসড়া দ্রুতই প্রকাশ করা হবে। এটা আমরা আগামী সপ্তাহের মধ্যেই করে দেব। বাস্তবতা ও আইনের বিষয়টাও তাই। আগে তো মানুষকে জানাতে হবে। তারপর তাদের কোনো আপত্তি থাকলে তার ওপর শুনানি হবে। এরপর যে আইন আছে প্রথম হচ্ছে ভৌগোলিক অখণ্ডতা, তারপর আঞ্চলিক অবিভাজ্যতা, তারপর প্রশাসনিক এলাকা, চতুর্থত জনসংখ্যার ঘনত্ব। এ সবগুলো বিবেচনায় নিয়ে যদি প্রয়োজন হয় সংশোধন হবে। না হলে হবে না।
সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্র্নিধারণ নিয়ে এটি বর্তমান কমিশনের প্রথম ‘কমিশন বৈঠক’। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী জুনের মধ্যে সীমানা পুননির্ধারণের কাজ শেষ করবে ইসি।