স্টাফ রিপোর্টার- বান্দরবানের থানচির রেমাক্রির নতুন ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় পাহাড়ি সন্ত্রাসী সংগঠন কুকিচিন এবং জঙ্গিদের সঙ্গে র্যাবের গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। গোলাগুলি চলাকালে পাঁচ জঙ্গিকে আটক করেছে র্যাব। গুলিচলাকালে র্যাবের আট সদস্য আহত হয়েছেন।
র্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন । ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।
মঙ্গলবার বিকালে থানচির তমাতুঙ্গিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিজি বলেন, ‘সকালে থানচির রেমাক্রি এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় র্যাব সদস্যদের লক্ষ করে গুলি ছোড়ে জঙ্গি ও কুকিচিনের সদস্যরা। এ সময় র্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়লে দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। গোলাগুলি থেমে থেমে এখনও চলছে।
তিনি আরও জানান, র্যাবের অভিযানে এ পর্যন্ত ৪৩ জন নতুন জঙ্গি সংগঠনের সদস্য এবং ১৪ জন কুকিচিন সংগঠনের সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মঙ্গলবার সকালে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো খুদে বার্তায় গোলাগুলির খবর পাওয়া যায়।
জানা যায়, সম্প্রতি উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বেচ্ছায় হিজরতের নামে বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হয় ১৯ জেলার ৫৫ তরুণ। তাদের অনেকেই জঙ্গিবাদে জড়িয়ে নতুন করে কথিত হিজরতের নামে ঘর ছেড়ে পাহাড়ি এলাকার আস্তানায় আশ্রয় নেয়। এসব তরুণদের ভারি অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেয় একটি পাহাড়ি সন্ত্রাসী দল। তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া পাহাড়ি সন্ত্রাসী সংগঠনের নাম ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। বিষয়টি জানার পর গত ১৭ অক্টোবর থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাস নির্মূল করতে অভিযানে নামে র্যাব ও সেনাবাহিনী।
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে জঙ্গিদের সঙ্গে র্যাবের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ওই সময় জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র শুরা সদস্য ও সামরিক শাখার প্রধান রনবীর এবং তার সহযোগী বোমাবিশেষজ্ঞ বাশারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সেখান থেকে দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে র্যাব।
উল্লেখ্য, অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করতে গত ১৮ অক্টোবর থেকে বান্দরবানের রুমা রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে স্থানীয় প্রশাসন।