স্পোর্টস রিপোর্টার – নারী টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপের প্রথম ম্যাচেই হেরে গেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। নিগার সুলতানা জ্যোতির দল শ্রীলঙ্কার কাছে ১০ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে হেরেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে টস জিতে আগে ব্যাটিং করে ৮ উইকেটে ১২৬ রান করে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কা ১৮.২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান করে জয় তুলে নেয়। বাংলাদেশ বিশ^কাপে টানা ১৩তম হার দেখল। কেন এমন হার হলো? বাংলাদেশ অধিনায়ক জ্যোতি ব্যাটিংকেই দুষেছেন।
সোবহানা মোস্তারি (২৯), জ্যোতি (২৮) ও ওপেনার শামিমা সুলতানা (২০) ভালই ব্যাটিং করেন। কিন্তু পাওয়ার প্লেতে ১০টি বাউন্ডারি হলেও এরপর আর কোন বাউন্ডারির দেখা মিলেনি। লঙ্কান ওপেনার হারশিতা সামারাবিক্রমা এবং নিলাকশি ডি সিলভার ১০৪ রানের জুটিতেই শ্রীলঙ্কা জয়ের কাছে পৌছে যায়।
ম্যাচশেষে লঙ্কানদের বিপক্ষে হারের কারণ জানাতে গিয়ে ব্যাটিংকে দায় দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। তিনি বলেন, পাওয়ার প্লের সময় আমাদের ব্যাটিং দুর্দান্ত ছিল। কিন্তু ৬ ওভারের পর আমরা কোনো বাউন্ডারি পাইনি। এরই মূল্য দিতে হয়েছে।
১৫-২০ রানের ঘাটতি ছিল জানিয়ে জ্যোতি বলেন, প্রথমত আমার মনে হয়, ১৫-২০ রানের ঘাটতি ছিল আমাদের। এই ধরনের উইকেটে অন্তত ১৪০ রানের বেশি করতে পারলে দারুণ হতো। কারণ, তাদের ব্যাটিং বিভাগ অনেক শক্তিশালী। আমাদের শুরুটা ভালো ছিল, কিন্তু দশম ওভারের পর ভালো করতে পারিনি। পরের ম্যাচগুলোতে পাওয়ারপ্লের ব্যাটিংয়ে উন্নতি রাখতে চায় বাংলাদেশ। সামনের ম্যাচের পরিকল্পনা জানিয়ে জ্যোতি বলেন, আমরা পরের ম্যাচগুলোতে পাওয়ার প্লের এই ব্যাটিংটা করে যেতে চাই। বাউন্ডারি মারা নিয়ে কাজ করতে হবে আমাদের। শেষ দিকে আমরা উইকেটও বেশি হারিয়েছি।
লঙ্কানদের বিপক্ষে হারলেও বাংলাদেশের প্রাপ্তি পেসার মারুফা আক্তার। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলা এই পেসার সুযোগ পেয়ে নজর কেড়েছেন সবার। প্রথম দুই ওভারে কোন রান না দিয়েই তুলে নেন তিন উইকেট, সম্ভাবনা জাগান হ্যাটট্রিকের। ৪ ওভারে দিয়েছেন ২৩ রান।
সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক জ্যোতির সঙ্গে এসেছিলেন তিনিও। নিজের প্রতিক্রিয়ায় মারুফা বলেন, ওখানে (অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে) আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলেছি। এমনভাবে খেলেছি যেন আপনাদের সঙ্গে (জাতীয় দলে) খেলার সুযোগ পাই।