Search
Close this search box.

ডিবির তদন্ত প্রতিবেদনে নারাজি দেবার সময় চেয়েছেন ফারদিনের বাবা

স্টাফ রিপোর্টার- বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলায় ডিবির তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন দাখিলের সময় চেয়েছেন তার বাবা ও মামলার বাদী কাজী নূরউদ্দিন রানা।

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালতে নারাজি আবেদনের জন্য সময় চেয়ে একটি আবেদন করেন তিনি।

আবেদন বাদী বলেন, তিনি তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং পরবর্তী নির্ধারিত তারিখে তিনি এর বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন দাখিল করবেন।

এই মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে থাকা বুশরা এসময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এই মামলায় তিনি স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। তবে, বিচারক তার জামিনের মেয়াদ পরবর্তী তারিখ পর্যন্ত বাড়িয়েছেন। শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট আগামী ১৬ মার্চ দিন ধার্য করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার গত ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তিনি বলেন, ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন, তাকে কেউ হত্যা করেনি। আমি ভিডিও ফুটেজ, তদন্ত, ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্ট, ঘটনার স্থান এবং অন্যান্য স্থান থেকে নেওয়া বিভিন্ন প্রমাণ পরীক্ষা করে দেখেছি যে, ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন। তাই বুশরা হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।

ফারদিনের বাবা কাজী নূরউদ্দিন রানা বলেন, আমার ছেলে কখনো আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা মামলাটি সঠিকভাবে তদন্ত করেননি। তাই পরবর্তী নির্ধারিত তারিখে আমি তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে অনাস্থা আবেদন করব।

নিখোঁজের ৩ দিন পর গত ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  পরে ফারদিনের বাবা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে গত বছরের ১০ নভেম্বর রাজধানীর বনশ্রীর বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেপ্তার করে রামপুরা থানা পুলিশ। ৫ দিনের রিমান্ড শেষে জামিন আবেদন নাকচ হলে গত ১৬ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এক মাসেরও বেশি সময় তদন্ত শেষে গত ১১ ডিসেম্বর ডিবি ও র‌্যাব জানায়, ব্রিজ থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ