Search
Close this search box.

তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহত বেড়ে প্রায় ৪৭ হাজার

তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহত বেড়ে প্রায় ৪৭ হাজার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক – তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা প্রায় ৪৭ হাজারে দাঁড়িয়েছে। আহত লাখেরও বেশি মানুষ। রবিবার তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজার ৪৫৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কের ৪০ হাজার ৬৪২ এবং সিরিয়ায় ৫ হাজার ৮১৪ জন। তবে জাতিসংঘের ধারণা নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।

ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে দুই দেশের ৪০ হাজারের বেশি ভবন ধসে পড়েছে। লাখেরও বেশি ভবন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভূমিকম্পটিকে গত ১০০ বছরের মধ্যে তুরস্কের সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্যোগ বলে উল্লেখ্য করা হয়েছে।
এদিকে বিভিন্ন দেশের উদ্ধারকর্মীসহ বর্তমানে আড়াই লাখের বেশি কর্মী মাঠে কাজ করছে। অলৌকিকভাবে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এখনও জীবিত প্রাণ খুঁজে পাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। ভূমিকম্পের ১৩ দিন পরও তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ভূমিকম্পে ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য ১০০ কোটি ডলার সহায়তা চেয়েছে জাতিসংঘ।

এদিকে অন্তত ১ হাজার ৫২২ সিরীয়’র মরদেহ কবর দিতে তুরস্ক থেকে সিরিয়ায় নেওয়া হয়েছে। বাব আল-হাওয়া সীমান্ত পার হওয়ার সময় এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন।
এ ছাড়া ভূমিকম্প থেকে বেঁচে যাওয়া সিরীয় নাগরিকরাও তুরস্ক থেকে নিজ দেশে ফিরছেন। গত বুধবার ১ হাজার ৭৯৫ জন সিরীয় সীমান্ত পার হয়ে তুরস্ক থেকে নিজ দেশে প্রবেশে করেন। কাতারভিত্তিক সংবাদামাধ্যম আলজাজিরা এ খবর দিয়েছে।

এর আগে সিরীয় শরণার্থীদের সাময়িক সময়ের জন্য দেশটিতে ফেরার অনুমতি দেয় তুরস্ক। অনুমতির পর প্রথমবার বুধবার ওই শরণার্থীরা সিরিয়ায় ফেরে। তবে সিরিয়ায় ফিরলেও তারা তুরস্কের দেওয়া সাময়িক সুরক্ষা মর্যাদা হারাবে না।
এ ছাড়া সাময়িক সুরক্ষা কার্ডধারী সিরীয়দের নিজ দেশে যেতে তুরস্ক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো ভ্রমণ অনুমতিপত্র নিতে হচ্ছে না। সাধারণত ওই কার্ডধারী এবং রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী কোনো সিরীয় বিনা অনুমতিতে সীমান্ত পার হলে তার ওই কার্ডের বৈধতা থাকে না এবং পাঁচ বছরের মধ্যে তুরস্কে ঢুকতে পারে না।

উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। ভূকম্পনপীড়িত তুরস্কের ১০টি অঞ্চলে ৩ মাসের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। এই ভূমিকম্পে দেশ দুটিতে নিহতের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন লাখেরও বেশি মানুষ। ১৯৩৯ সালে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্কের পূর্ব এরজিনকান প্রদেশে ৩৩ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ