স্টাফ রিপোর্টার – তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মন্তব্য করেছেন, সুপ্রিম কোর্টে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতির দরজায় লাঠি মেরেছে। ব্যালট পেপার লুট করতে চেয়েছিল। এটি ইতিহাসের কলিঙ্কত ঘটনা। এর বিচার হওয়া উচিত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষ্যে মহিলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন কারও জন্য থেমে থাকবে না। ২০১৪ ও ২০১৮ সালেও থেমে থাকেনি। আগামী জাতীয় নির্বাচনও থেমে থাকবে না। বিএনপি নির্বাচনের ট্রেনে উঠবে কিনা সেটি তাদের বিষয়।
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও আমাদের মাথাপিছু আয় ভারতকে ছাড়িয়েছে। এটা আমাদের বা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কথা নয়; এটা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের প্রতিবেদন। কিন্তু দেশের অগ্রগতি বিএনপির পছন্দ নয়।
তিনি বলেন, যেখানে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দুটি ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেছে; ইউরোপের দেশগুলোয় ফ্রি টিকা দেওয়া হয়নি, সেখানে শেখ হাসিনা সবাইকে ফ্রি টাকা দিয়েছেন। প্রথম থেকে তৃতীয় ডোজ; এখন চতুর্থ ডোজ দেওয়ার জন্য ডাকাডাকি হচ্ছে। তারপরও মানুষ দিতে চাচ্ছে না। তবে আমরা বিএনপিকে অনুরোধ করি চতুর্থ ডোজ নিতে। তারা সুস্থ থেকে আমাদের বিরোধিতা করুক; এটাই চাই।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই টিকা নিয়ে না কত কাহিনী করল মির্জা ফখরুল সাহেব, রিজভী সাহেব, ডক্টর জাফরুল্লাহ সাহেব। গুজব রটালো। মানুষকে বলল, এই টিকা না নেওয়ার জন্য। পরে উনারা মাথায় ঘোমটা পরে টিকা নিতে গিয়েছে। আমি ফেসবুকে দেখেছি। রিজভী সাহেব নাকি চাদর দিয়ে মাথা ঢেকে টিকা নিতে গিয়েছে। জাফরউল্লাহ সাহেব লজ্জা ভেঙে নিজে গিয়েছেন। আগে সমালোচনা করেছেন; টিকা নিয়ে বললেন তার খুব আরাম লাগছে!
বিএনপিকে নিয়ে সমালোচনার পর নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কথা বলেন ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, শুধুমাত্র রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নয়, সামাজিক ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। সেটি আজকে সারা পৃথিবীর সামনে ধারক হিসেবে উপস্থাপিত হয়। আজকে সন্তানের পরিচয় ক্ষেত্রে বাবার পাশাপাশি মায়ের নাম লেখা বাধ্যতামূলক। বর্তমান সরকারের শাসনামলে নারীর যত উন্নয়ন হয়েছে তা কেউ আগে কল্পনাও করেনি। নানা পরিসংখ্যান বলছে, পৃথিবীতে যত কাজ হয়, তার ৭০ ভাগ করে নারী।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়ন, রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ও সামাজিক ক্ষমতায়নের প্রয়োজন সঠিকভাবে উপলব্ধি করে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তিনি বাংলাদেশকে একটি সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করেছেন। বর্তমানে দেশে ২২ প্রকারের ভাতা চালু করা হয়েছে। যা শেখ হাসিনা সরকারের হাত ধরেই হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জাতীয় পর্যায়ে অবদান রাখায় ছয় নারীকে সম্মাননা দেওয়া হয়। সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন- প্রথম নারী জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাসিমা বেগম, বাংলাদেশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য ফারজানা ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রথম নির্বাচিত নারী সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, জাতীয় কারাতে খেলোয়াড় মারজানা আক্তার প্রিয়া, প্রথম নারী মেট্রোরেল অপারেটর মরিয়ম আফিজা, প্রথম নারী ট্রেন অপারেটর আসমা আক্তার। বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদক জাহানারা বেগম।