স্টাফ রিপোর্টার – কাউকে ভোটের মাঠে আনা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাজ না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। বৃহস্পতিবার দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কাউকে ভোটের মাঠে দাঁড় করিয়ে, মানে আনতেই হবে এটা কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কাজ না। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তাদের আহ্বান করে থাকি, করতে পারি। কিন্তু তারা আসবে কি, আসবে না, আনতেই হবে এই বিষয়টা কিন্তু আমাদের কাজও না। এটাই হলো আসল কথা।
সংলাপের বিষয়ে তিনি বলেন, সংলাপ কাজের সুবিধা জন্য হয়। এটা করার জন্য আইনে কিছু বলা নেই। এইটুকু বলতে পারি, প্রয়োজন হলে নিশ্চয় আমরা বসবো। রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল অর্ডারের (আরপিও) অগ্রগতির বিষয়ে তিনি বলেন, ২৮ মার্চ মন্ত্রিপরিষদে উঠবে। মন্ত্রিপরিষদে পাস হলে সংসদে যাবে। সংসদ যেভাবে পাস করে দেয়।
আরপিও সংশোধন হলে এটি যুগান্তকারী আইন হবে এবং এতে প্রার্থী, সমর্থক সবার আচরণগত পরিবর্তন হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এটা (আরপিও) পাস হলে কমিশন, কমিশনের যারা ফিল্ডে কাজ করবে, প্রত্যেকের জন্য এটা খুব ভালো একটা কাজ হবে। আমাদের জন্য অনেকটাই ভালো হবে। বাংলাদেশ থেকে সবকিছু নির্মূল করা সম্ভব নয়। তবে অনেকটাই হ্রাস হবে বলে আশা করি। শতভাগ বন্ধ করা সম্ভব হবে না। দেশে ফাঁসির আইন আছে, তাই বলে কী খুন বন্ধ আছে? তা তো নাই।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইন না জানাও কিন্তু একটা অপরাধ। কোনো আইন পাস হলে যখন গেজেট হয়ে যায়, তখন প্রাপ্তবয়স্ক কেউ বলতে পারবে না যে আমি জানি না। জনে জনে, ঘরে ঘরে গিয়ে তো আর আইন পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। গেজেট হয়ে গেলে ধরে নিতে হবে সবাই জানে।
এক বছরের মতো সময় আগে আইনটা পাঠানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, যে অপরাধগুলোকে অপরাধ হিসেবে ছিল না। আমরা সেগুলোকে চিহ্নিত করে শাস্তির বিধানের সুপারিশ করেছি। গণমাধ্যমের ইকুপমেন্ট কেড়ে নেয়, সেটাও অপরাধের আওতায় আসবে। সঙ্গত কারণেই যারা এ কাজ করবে, আইনটা হলে একটু হলেও মনের মধ্যে খটকা লাগবে যে, আমি এই কাজ করছি আমাকেও আইনের আওতায় আনা হবে। দশজনের না হোক দু’জনের হলেও তো হলো। এতে যদি ক্ষান্ত দেয় এটাও তো বড় অর্জন মনে করি।
তিনি বলেন, ভোটারদের বাধা না দেওয়া হয় সেই বিষয়টিও রয়েছে। ফলে মেলপ্রক্যাটিস নজরে এলে কমিশনের বন্ধ করার ক্ষমতা যেন থাকে সে বিষয়টাও কিন্তু আছে। এগুলো হলে নির্বাচন একটা ছাপ ফেলবে।
আইন পাস হলে প্রয়োগ করতে পারবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের যতটুকু করার করতে পারব। বাকিটা তো বিচারের প্রক্রিয়ায় চলে যাবে। আমরা কিন্তু অতীতে প্রয়োগ করেছি। এলেঙ্গা পৌরভোটে মারামারি হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছি। অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছি। কেবল এলেঙ্গায় নয় অনেক জায়গায় আমরা অনেক ব্যবস্থা নিয়েছি।
কোরবানির আগেই পাঁচ সিটি নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, কোরবানির আগেই সব সিটি নির্বাচন শেষ করে দেব। কোরবানির পরে আমাদের সংসদ নির্বাচনের জন্যই মনোনিবেশ করতে হবে। কেননা, অনেক কাজ। অনেক ধরনের বিষয় আছে। গাজীপুর আগে হবে। আর সেপ্টেম্বর, অক্টোবর পর্যন্ত অন্যগুলোর সময় আছে। কিন্তু আমরা অতদূর যাব না। ২৩ মে থেকে জুনের মধ্যেই পাঁচ সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে কোনটা কবে হবে সেটা তফসিলে ঠিক হবে।