স্টাফ রিপোর্টার – সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, পদ্মা সেতু থেকে টোল এসেছে ৬০৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে গত মার্চ পর্যন্ত ৬০৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা টোল আদায় করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে বিষয়টি উত্থাপন করা হয়।
সেতুমন্ত্রী জানান, ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পর থেকে গত মার্চ পর্যন্ত ৭ হাজার ৬৯৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা এবং ২০০৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি মুক্তারপুর সেতু চালু হওয়ার পর থেকে গত মার্চ পর্যন্ত ২০৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার টোল আদায় করা হয়েছে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমানে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কোনো গবেষণামূলক কার্যক্রম চলমান নেই। তবে বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় ৩৬০ মিলিয়ন ডলারের ‘বাংলাদেশ রোড সেফটি প্রোগ্রাম’ প্রকল্প প্রস্তুত করা হয়েছে, যার অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন। এ প্রকল্পে দেশের জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কগুলো সড়ক নিরাপত্তার পরিপ্রেক্ষিতে রেটিং প্রদানবিষয়ক গবেষণামূলক কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত আছে। এ কার্যক্রমের আওতায় সড়কের নিরাপত্তা ও জিওমেট্রির ভিত্তিতে বিভিন্ন জংশন উন্নয়নের সংস্থান রাখা হয়েছে। প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াধীন। প্রস্তাবিত প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে তা ২০২৭ সালের ৩০ নভেম্বর নাগাদ বাস্তবায়ন হবে।
নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের জানান, ঢাকা মহানগরীতে বিআরটিসিসহ বেসরকারি বিভিন্ন পরিবহন কোম্পানির প্রায় ছয় হাজার বাস চলাচল করে। বিআরটিসির কিছুসংখ্যক রুটে ই-টিকিটিং চালু আছে। এ ছাড়া ৯৭টি বেসরকারি পরিবহন কোম্পানির মধ্যে ৬৯টি কোম্পানির ৩ হাজার ৩০০ বাসে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির তত্ত্বাবধানে ই-টিকিটিং চালু করা হয়েছে। বিআরটিএ এ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানান সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, অচিরেই অবশিষ্ট কোম্পানির বাসে ই-টিকিটিং ব্যবস্থা চালু করা হবে। পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রাম মহানগরীতে এ সেবা প্রদান করা হবে।