স্টাফ রিপোর্টার- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশ ও নির্বিঘ্নে পরীক্ষা দেওয়া নিশ্চিত করতে অভিভাবকদের অতিরিক্ত জটলা ও গাড়ি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে না আনার আহ্বান জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় চারুকলা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এই আহ্বান জানান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চারুকলা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা সমন্বয়ক ও ডিন অধ্যাপক ড. মো. নিসার হোসেন।
পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে উপাচার্য বলেন, ‘আমরা পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা প্রশ্নের গুণগত মান ও পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। আপনারা দেখছেন সার্বিক পরিবেশ। আজকে হয়তো চারুকলার শিক্ষার্থী কম, বিধায় এতটুকু আছে। তবে আমরা প্রত্যাশা রাখবো সামনের দিনগুলোতে আরো সুন্দর পরিবেশ বজায় থাকে। কোথাও যেন মানুষের জটলা না হয়, অতিরক্তি গাড়ি যেন না থাকে। শিক্ষার্থীরা যেন নির্বিঘ্নে পরীক্ষা কেন্দ্রে এসে পরীক্ষা দিতে পারে সেবিষয়ে সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। সেখানে আমাদের প্রক্টরিয়াল টিমও কাজ করবে।’
প্রশ্নপত্র ফাঁস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত অসাধু লোকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমরা একটি প্রত্যয় ব্যক্ত করেছি। আমাদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও রয়েছে। আমরা যারা এই ধরনের অসাধু কাজ করে, প্রশ্নপত্রের বিভিন্ন জালিয়াতির চেষ্টার অপচেষ্টা ও অপপ্রচার চালায় তাদের কিছু লোককে শাস্তির আওতায় এনেছি। আমাদের পরীক্ষা বরাবরের মতোই স্বচ্ছ হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় আমরা সুন্দরভাবে এগোচ্ছি। আশা করি, সামনের দিনগুলোতেও কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে না।
চারুকলার ভর্তি পরীক্ষার্থী দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমতাবস্থায় আসন বাড়ানোর কোনও সম্ভাবনা আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চারুকলা একটি সৃজনশীল শিক্ষা মাধ্যমে। কতগুলো মানদণ্ডে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়। আসন সংখ্যাও সেই নিরীক্ষায় নির্ধারণ করা হয়। কিছু কিছু বিষয় এতো প্রায়োগিক যে, সেখানে শুধু বক্তৃতা নির্ভর শ্রেণি কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষা নিশ্চিত করা কঠিন। সেখানে অনেক বেশি ব্যবহারিক ও প্রায়োগিক বিষয় আছে। তাই বিজ্ঞানের মতো তাদেরও আসন সংখ্যা সাধ্যের মধ্যে রাখতে হয়। ১৩০ আসনের বিপরীতে প্রায় ৭ হাজার ১০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। আটটি বিভাগ থেকে গুণগত মান নিশ্চিত করে শিক্ষার্থীরা বের হতে পারলে, তারা সমাজের অন্যন্য ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারবে।