স্টাফ রিপোর্টার- বাংলাদেশের মহান স্থপতি, স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন সাধারণ মানুষের মুক্তি ও স্বাধীকার আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। বঙ্গবন্ধু নিজে ও পরিবারের অন্য সকল সদস্যরা জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। এই বাংলায় সকল ধর্মাবলম্বী মানুষের স্বাধীনভাবে,মুক্তভাবে চলাচলের নিশ্চিত করে যাচ্ছেন তারই সুযোগ্য কন্যা আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সৌহার্দপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রেখেই আমাদের সকলের একসাথে পথ চলতে হবে এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হবে।
ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারি উপজেলার ময়না ইউনিয়নের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহানামযজ্ঞ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের প্রাক্তন এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশ আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে, দেশের প্রতিটি প্রত্যান্ত অঞ্চলে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে হলে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে,পুনরায় নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই শেখ হাসিনার চলমান এই উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে। আমাদের সকলে মিলে এই উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।
এই নেত্রী আরও বলেন, যে বিশ্বব্যাংক আমাদের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন, পদ্মা সেতু নির্মাণে দুর্নীতির দোহাই দিয়ে বিএনপি জামাত এবং কথিত শান্তির দূত ইউনুসের ষড়যন্ত্রের কারণে অর্থ সহায়তায় অনিহা দেখিয়েছিলো, অর্থনৈতিক সাহায্য দেয়া থেকে পিছিয়ে গিয়েছিল। শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে তাদের জানিয়ে দিলেন বাংলাদেশ কোন দুর্নীতির সাথে যুক্ত ছিলনা। সেই বিশ্বব্যাংকের প্রধানকে পদ্মা সেতুর ছবি উপহার দিয়ে প্রমাণ করলেন আমরা আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ। কোন ষড়যন্ত্র ও বাধা বাংলাদেশের উন্নয়ন রুখতে পারবে না। বাংলাদেশ তার আপন মহিমায় মহিমান্বিত হয়ে মাথা তুলে দাঁড়াবে।
মাহমুদা কৃক আরও বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দেশী ও আন্তর্জাতিক নানা ষড়যন্ত্র ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। দেশের একটা বিশেষ শ্রেণি দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য, এই সরকারকে উৎখাত করার জন্য বিদেশিদের কাছে নালিশ করতে শুরু করেছে। যা অনভিপ্রেত,অপ্রত্যাশিত।তারাই এদেশের উন্নয়ন মেনে নিতে পারেনা, উন্নয়ন চায়না, যারা এদেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব মেনে নিতে পারেনা । এই কুচক্রী মহল, স্বাধীনতা বিরোধীদের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে আমাদের সকলের সজাগ থাকতে হবে।
এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, সমাজের গৌণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নেতারাসহ অন্যান্য ভাতৃপ্রতীম ছাত্র সংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এরপর মধুখালি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপর স্থানীয় সন্ত্রাসী দ্বারা হামলায় গুরুতর অসুস্থ নির্বাহী কর্মকর্তাকে আশিকুর রহমান চৌধুরীকে দেখতে রাতে ফরিদপুর সরকারি হাসপাতালে ছুটে যান। উনার চিকিৎসার সার্বিক খোঁজ খবর নেন এবং সুস্থতা কামনা করেন। সেসময় ফরিদপুর জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান উপস্থিত ছিলেন।