Search
Close this search box.

ওরা আমাকে বিষাক্ত ইনজেকশন দিয়ে মেরে ফেলতে পারে – ইমরান খান

ওরা আমাকে বিষাক্ত ইনজেকশন দিয়ে মেরে ফেলতে পারে - ইমরান খান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক – আদালতে দাঁড়িয়ে ইমরান খান অভিযোগ করেছেন, বিষ প্রয়োগ করে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হচ্ছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের গ্রেফতার ইস্যুতে এখন উত্তাল পুরো পাকিস্তান। তাকে আট দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ইমরান খান এমন কথা বললেন। খবর টাইমস নাউ ও হিন্দুস্তানটাইমস।

গত মঙ্গলবার তোশাখানা মামলায় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ইমরান খানকে গ্রেফতার করে রেঞ্জার্স বাহিনী। পরে পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়। পরদিন বুধবার তাকে আদালতে পেশ করা হয়। সেখানে ইমরান খান অভিযোগ করেন, পুলিশি হেফাজতে তার ওপর অকথ্য নির্যাতন চালানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের আর্থিক তছরুপ মামলার সাক্ষী মাকসুদ চাপরাশি পুলিশি হেফাজতে যেভাবে মারা গিয়েছিলেন, তারও একই হাল হতে পারে বলে আশঙ্কা করেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

পুলিশ সদর দপ্তরে বসানো বিশেষ আদালতে ইমরান খান বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আমি একবারও ওয়াশরুমে যাইনি। আশঙ্কা করছি, আমার অবস্থাও মাকসুদ চাপরাশির মতোই হবে। মাকসুদকে বিশেষ এক ধরনের ইনজেকশন দেওয়া হত। ফলে সে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়। এক সময় হৃদরোগে মৃত্যু হয় তার। আমার ধারণা একই বিষাক্ত ইনজেকশন দিয়ে আমাকে হৃদরোগ বা হার্ট অ্যাটাকের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

আদালতে দুর্নীতি দমন শাখা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো (ন্যাব) ইমরান খানকে ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে রাখার অনুমতি চেয়েছিল। আদালত তার জন্য আটদিনের হেফাজত মঞ্জুর করেন। আগামী ১৭ মে এ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। এ সময় ইমরান আদালতের কাছে অনুরোধ করেন, তার ব্যক্তিগত চিকিৎসককে যেন তার কাছে যেতে দেওয়া হয়। তবে তার এই আবেদন গ্রাহ্য হয়েছে কি না, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

ইমরান খানের বর্তমান ঠিকানা আপাতত জেলই! দুর্নীতি থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার, একাধিক মামলায় অভিযুক্ত ইমরান খান। গ্রেফতারির পরই কার্যত ‘হাওয়ায় উবে যান’ ইমরান। তাঁকে গ্রেফতার করে কোথায় রাখা হয়েছে, সে সম্পর্কে কোনও তথ্য ছিল না। পরে বুধবার জানা যায়, ইসলামাবাদ কিংবা রাওয়ালপিন্ডিতে ন্যাবের সদর দফতরে রাখা হয়েছে ইমরান খানকে। অশান্তি এড়াতে পুলিশের সদর দফতরেই বিশেষ আদালত বসানো হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ