স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, নানা জটিলতার কারণে স্বাস্থ্যখাতে সেবার মান শতভাগ নিশ্চিত যায়নি। সোমবার (২৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বাজেটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় খাতে ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের বিভিন্ন অভিযোগ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নানা জটিলতার কারণে শতভাগ সেবার মান নিশ্চিত করা যায়নি। এক্ষেত্রে দক্ষ জনবল এবং টেকনিশিয়ানে অভাব রয়েছে । তবে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে ইতোমধ্যে জনবল বাড়ানো এবং টেকনিশিয়ান নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিভিন্ন অনিয়ম এবং দুর্নীতির কারণে ৬টি মেডিকেল কলেজ ও এক হাজার ৮০০ ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
যথেষ্ট মনিটরিংয়ের অভাবের প্রসঙ্গও টানলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, প্রাইভেট হাসপাতালে সেবার মান বাড়াতে ইতোমধ্যে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্যদের নিজ নিজ এলাকার হাসপাতালগুলোর পরিচালনা পর্ষদ ও কমিটিতে রয়েছেন। এক্ষেত্রে তাদেরও মনিটরিং করার সুযোগ রয়েছে। আমি আশা করছি তারা এ ব্যাপারে আরো সজাগ হবেন। তাহলে সেবার মান ভাল হবে।
তিনি বলেন, করোনা মোকাবিলায় আমরা ৩ বছর যুদ্ধ করেছি। ওই সময় ভ্যাকসিন, ওষুধ কেনা ও হাসপাতাল নির্মাণে ৬০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। যদিও চলতি বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ৩৮ হাজার কোটি টাকা। গত অর্থবছরের বাজেটেও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ রাখা হয় ২৯ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকার মতো। করোনা মোকাবিলায় সরকার ৬০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করলেও এই হিসাবগুলো জনসম্মুখে আসছে না। কিন্তু এটা জনগণের জানা প্রয়োজন। করোনার পাশাপাশি দেশে অসংক্রামক রোগ যেমন ক্যান্সার, কিডনি ও হার্ট সমস্যা মোকাবিলায় সরকার আলাদা হাসপাতাল করার উদ্যোগ নিয়েছে। এর পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবার মান বাড়াতে হাসপাতালগুলোতে আইসিউ, সিসিইউ বেড স্থাপন করা হচ্ছে। যেটা অতীতে ছিল না।