Search
Close this search box.

লোডশেডিং শূন্য ঈদ উল আজহা

কয়লার অভাবে গত ২৫ মে পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর দেশজুড়ে শুরু হয় লোডশেডিং। এছাড়া ডলার সংকটে জ্বালানির সংস্থান ব্যাহত হওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ অর্ধেকে নেমে যায়। ফলে লোডশেডিং আরও তীব্র আকার ধারণ করে। সেসময় নানা ধরনের বিকল্প পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন বজায় রাখা হলেও লোডশেডিংয়ের পরিমাণ কমানো যাচ্ছিল না।

এদিকে, রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে সরকারি ছুটি। নাড়ির টানে নগরবাসীরা ফিরতে শুরু করেছেন যার যার বাড়িতে। আর ঈদের ছুটির দ্বিতীয় দিনে লোডশেডিং নেমে এসেছে শূন্যের ঘরে।

অপরদিকে, গত ২৫ জুন ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা কয়লার মাধ্যমে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদন শুরু করলে লোডশেডিং পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নত হতে থাকে। এছাড়া ২৬ জুন ভারতের আদানি পাওয়ারের দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনে আসায় ১ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ন্যাশনাল গ্রিডে যুক্ত হয়। এছাড়া উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রেও। শুষ্ক মৌসুমে কেন্দ্রটি ২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন করলেও সম্প্রতি বৃষ্টির ফলে তা ৬০ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে।

এদিকে দেশজুড়ে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা অনেকাংশেই কমে গেছে। ঈদের ছুটিতে বহু মানুষ গ্রামের বাড়ি চলে যাওয়ার কারণে ঢাকাসহ শহরের বিদ্যুতের চাহিদাও কমে এসেছে।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, বুধবার (২৮ জুন) সর্বোচ্চ বিদ্যুতের চাহিদা ১২ হাজার মেগাওয়াট। কয়েক সপ্তাহ আগেও যা ছিল ১৭ হাজার মেগাওয়াটের কাছাকাছি। ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারের তথ্যানুযায়ী, ১২ হাজার মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হয়েছে ১৪ হাজার ৪৩৩ মেগাওয়াট। ফলে কার্যতই লোডশেডিং এখন শূন্যের কোঠায়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আপাতত লোডশেডিং হওয়ার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। পায়রাসহ অন্যান্য কেন্দ্রগুলোতে উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ার চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।

তাছাড়া ঈদের ছুটিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের অধীন ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিই তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার তালিকা প্রকাশ করেছে। এছাড়াও হঠাৎ কোথাও বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেলে, ট্রান্সফরমার পুড়ে গেলে দ্রুত মেরামতের টিম তৈরি করে রাখা হয়েছে।

এসব প্রসঙ্গে বিপিডিবির মুখপাত্র শামীম হাসান বলেন, মূলত লোডশেডিংয়ের পরিমাণটা তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করে। তাপমাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে গেলে চাহিদা অতিরিক্ত বেড়ে যায়, ফলে লোডশেডিং করতে হয়। তবে বর্তমানে পায়রা, আদানি উৎপাদনে আসায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, তাপমাত্রাও অনেকটা কমে গেছে। আশা করছি পুরো ঈদের ছুটিতেই বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ