সুইডেনে বাংলাদেশ মিশনে ‘ই-পাসপোর্ট’ কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে স্টকহোমে বাংলাদেশ দূতাবাসে এ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন তিনি। এ কার্যক্রম চালু হওয়ায় এখন বহির্বিশ্বের ৩২টি বাংলাদেশ মিশন থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ‘ই-পাসপোর্ট’ নিতে পারবেন।
স্টকহোমে ‘ই-পাসপোর্ট’ কার্যক্রমের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০২০ সালে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন করা হয়। ওই বছরের ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আয়োজিত এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে বর্তমান বিশ্বের সর্বাধুনিক ‘ই- পাসপোর্ট শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করে বলেন, ‘ই-পাসপোর্ট বাংলাদেশের জনগণের জন্য মুজিববর্ষের উপহার’।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট প্রদান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ফসল। বাংলাদেশ এখন আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের সকল পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট প্রদান করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ‘ই-গেইট’ স্থাপন করা হয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম। উন্নত দেশগুলোর স্বল্পসংখ্যক দেশে ‘ই-গেইট’ স্থাপিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আমরা শিগগিরই ‘ই-ভিসা’ কার্যক্রমও শুরু করতে পারব।’
সুইডেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেহ্দী হাসানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের ডেপুটি ডাইরেক্টর এবং সুইডেনে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির কয়েকজন সদস্য বক্তব্য রাখেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসা. সাহানারা খাতুনসহ সুইডেনে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী সুইডেনে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
উল্লেখ্য, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এর আগে গত ১৮ আগস্ট বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে বাংলাদেশ দূতাবাসে ৩১তম বৈদেশিক মিশন হিসেবে ‘ই-পাসপোর্ট’ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।