ভোটের মাঠে নিরাপত্তা নিশ্চিতে মূলত পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসার বাহিনী নিয়োজিত থাকে। পুলিশ ভোটের আগে দুই দিন ও পরে দুইদিন পর্যন্ত মোট চারদিন দায়িত্ব পালন করে। আনসার সদস্যরা ভোটের আগেপরে মিলিয়ে দায়িত্ব পালন করেন মোট পাঁচদিন। অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরাও তিন থেকে চারদিন নির্বাচনী দায়িত্বে থাকেন। তবে এবার ভোটের পরে ১৫ দিন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন রাখার কথা ভাবছে ইসি।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রয়োজন হলে ভোটের পরবর্তী ১৫ দিন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন থাকবে। বিভিন্ন সংগঠনের নিরাপত্তা শঙ্কায় এবং সংলাপে এটি উঠে আসার কারণেই বিষয়টি কমিশনে আলোচনা হয়েছে।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) তিনি গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন।
অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, বিভিন্ন সংগঠন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে তাদের উদ্বেগের কথা জানাচ্ছে। আইনে নির্বাচনের পরবর্তী ১৫ দিন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রাখার সুযোগ আছে। নির্বাচনের সময় পরিস্থিতি বুঝে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে আগামী ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করার কথা বলে আসছে ইসি।
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল কবে ঘোষণা করা হবে, তা চূড়ান্ত করেনি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। তবে তফসিল ঘোষণার কত দিনের মধ্যে কোন কাজটি করা হবে, তা ঠিক করা হয়েছে। ইসির কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, ৩১ অক্টোবর থেকে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের যারা প্রশিক্ষণ দেবেন, সেসব প্রশিক্ষকের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি হবে।