বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে জরুরি চিকিৎসার জন্য মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক। ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি এই আহ্বান জানান। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।
ভলকার টুর্ক চিঠিতে উল্লেখ করেন, ‘আমি তাঁকে (খালেদা জিয়া) মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য আপনার (শেখ হাসিনা) সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই; যাতে তিনি দেশের বাইরে জরুরি ও বিশেষ চিকিৎসাসেবা নিতে পারেন।’
চিঠিতে বলা হয়, খালেদা জিয়ার মুক্তি দুই পক্ষের রাজনৈতিক সংলাপ ও সমঝোতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে।
ফলকার টুর্ক অবৈধভাবে বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাউকে আটক করা থেকে বিরত থাকতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
ফলকার টুর্ক বলেন, এভাবে আটক করা হলে তা সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
এএফপির খবরে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া গত চার দশক ধরে ১৭ কোটি মানুষের দেশটির রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার তুর্ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো ওই চিঠিতে বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তিকে ‘রাজনৈতিক সংলাপ ও সমঝোতার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ হিসেবে দেখা হবে। এমতাবস্থায় আমি আপনার সরকারের কাছে তার মুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার জন্য আবেদন করছি। এতে খালেদা জিয়া দেশের বাইরে গিয়ে তার জরুরি এবং বিশেষায়িত চিকিৎসা গ্রহণ করার সুযোগ পাবেন।
গত ১ নভেম্বর ওই চিঠি পাঠানো হয় এবং এএফপি সেটি পড়ে দেখেছে। বার্তা সংস্থাটির খবরে বলা হয়, বাংলাদেশের চিকিৎসকরা বলছেন, বিদেশি চিকিৎসা না পেলে দুইবারের এই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জীবন ‘উচ্চ ঝুঁকিতে’ রয়েছে। খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ রয়েছে।
গত মাসে তিন মার্কিন চিকিৎসক তার সার্জারি সম্পন্ন করেন। কিন্তু তার লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য জার্মানিতে নিয়ে যেতে পরিবারের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ সরকার। আগামী জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের কথা রয়েছে।