মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চাইলেও বাংলাদেশের বিষয়ে একতরফাভাবে কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চাইলেও একতরফা সিদ্ধান্ত দিতে পারবে না। দক্ষিণ এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের যে বন্ধুরা আছে, তারা কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাপারে একতরফা কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়ার ব্যাপারে একমত নয়।
বিএনপির ঢাকা অবরোধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গতকাল পর্যন্ত পায় ৬০০ যানবাহন পোড়ানো হয়েছে। দশটি ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়েছে। বিএনপির আন্দোলন-অগ্নিসন্ত্রাসে পুলিশবাহিনীর সদস্য, পরিবহন শ্রমিক, রাজনৈতিক কর্মীসহ কয়েকজন মারা যাওয়ার পাশাপাশি ২৫০ জন মানুষ মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সিরাজগঞ্জে মুরগির বাচ্চা বহনকারী একটি কার্ভাডভ্যান পোড়ানো হয়েছে। এতে সাত হাজার মুরগির বাচ্চা পুড়ে গেছে। এখন মুরগির বাচ্চাও তাদের (বিএনপি) শত্রু। মুরগির বাচ্চাও তাদের টার্গেট। নাশকতা, গুপ্ত হামলার আজকের যে ভয়াবহ চিত্র, সেটা নতুন নতুন রেকর্ড স্থাপন করছে তারা।
ওবায়দুর কাদের বলেন, এরা যখন মুরগির বাচ্চাকেও টার্গেট করেছে, এদের গুপ্ত হামলার টার্গেট আরো বিস্তৃত হতে পারে। আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। নির্বাচন বানচালের জন্য এরা মরিয়া হয়ে উঠছে।
জাতীয় পার্টির সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা আলোচনার সুবিধার্থে বৈঠক করেছি। এরকম বৈঠকে দলীয় নেতাকর্মীদেরও অনেক আগ্রহ থাকে। এজন্যই আমরা গোপন করার চেষ্টা করেছি। তবে আপনারা সাংবাদিকেরা তো জানতে পারছেন। গতকালের আলোচনা রাজনৈতিক আলোচনায় সীমাবদ্ধ ছিলো।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা যে সকল রাজনৈতিক দল আছে তাদের সাথে আমরা আমাদের সহযোগিতা, সম্পর্ক আরও জোড়দার করার তাগিদ অনুভব করছি। যে কারণে ১৪ দলের সাথে বৈঠক হয়েছে। জাতীয় পার্টির সাথে বসেছি। মূল বিষয় ছিলো নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে গুপ্ত হামলা, গুপ্ত হত্যা প্রতিহত করবো ভোটারদের নিয়ে।
তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনমুখী অংশগ্রহণকারী দল, এদের মধ্যে সমন্বয় থাকা দরকার, ঐক্য থাকা দরকার। নির্বাচনকে পিসফুল, ফ্রি ফেয়ার করার অঙ্গীকার আমাদের রয়েছে। এখানে লুকোচুরির কোন ব্যাপার নেই। আমরা রাজনীতি করি, রাজনৈতিক আলোচনায় আমাদের হয়েছে।