Search
Close this search box.

গোপনে ভিডিও ধারণ, উইমেন্স ওয়ার্ল্ডের মালিককে খুঁজছে পুলিশ

রাজধানীতে ‘উইমেন্স ওয়ার্ল্ড’ বিউটি পার্লারের সেবাকক্ষে ক্যামেরা বসিয়ে গোপনে সেবাগ্রহীতাদের ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠেছে। এ সংক্রান্ত মামলায় প্রতিষ্ঠানটির তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তবে ‘উইমেন্স ওয়ার্ল্ড’ বিউটি পার্লারের মালিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসলিমা চৌধুরী কণা আলম এবং তার মেয়ে পরিচালক ও মডেল ফারনাজ আলমকে খুঁজছে পুলিশ।

জানা যায়, প্রায় ৬ মাস আগে উইমেন্স ওয়ার্ল্ডের ধানমন্ডি শাখার সেবাকক্ষে গোপন ক্যামেরা বসায় কর্তৃপক্ষ। এখানে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ নারী সেবা নিতে যেতেন। সেই হিসাবে প্রায় তিন হাজার নারীর অজ্ঞাতে তাদের ভিডিও ধারণ করা হয়েছে।এ নিয়ে অভিযোগ ওঠার পর পার্লারটি থেকে ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডার (ডিভিআর) জব্দ করেছে পুলিশ। তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সেখানে বিপুলসংখ্যক নারীর স্পর্শকাতর ভিডিও পাওয়া গেছে।গত বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) ভুক্তভোগী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী অধ্যাপকের অভিযোগের ভিত্তিতে উইমেন্স ওয়ার্ল্ডের বিরুদ্ধে ধানমণ্ডি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।এ বিষয়ে পুলিশের ধানমন্ডি জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার আবু তালেব বলেন, পুলিশ যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে মামলাটি তদন্ত করছে। পলাতক দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ভিডিও ফুটেজের অপব্যবহার হয়েছে কিনা, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।গত মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিউটি পার্লারটিতে সেবা নিতে গিয়ে গোপন ক্যামেরা নজরে আসে জবির ওই অধ্যাপকের। তার মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে ধানমন্ডি থানা পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়।এরপর পার্লারটি থেকে আটটি সিসি ক্যামেরা ও ক্যামেরার ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডিং (ডিভিআর) মেশিন জব্দ করে পুলিশ।এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানার এসআই মো. একরামুল হক বাদী হয়ে উইমেন্স ওয়ার্ল্ড পার্লারের দুই মালিক তাসলিমা চৌধুরী কনা আলম ও ফারনাস আলমসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করে।সেই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি প্রতিষ্ঠানটির মহাব্যবস্থাপক তসলিম আরিফ ইলিয়াস, ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) এমদাদুল হাসান ও ব্যবস্থাপক (তথ্যপ্রযুক্তি) এইচ এম জুয়েল খন্দকারকে মঙ্গলবার রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়।রাজধানীর কাকরাইল, উত্তরা, গুলশান, মিরপুর ও ধানমন্ডিতে উইমেন্স ওয়ার্ল্ডের শাখা রয়েছে। এর মধ্যে মিরপুরেই রয়েছে দুটি শাখা।তবে ‘গোপন ক্যামেরাকাণ্ডের’ পর শুধু ধানমন্ডির সাতমসজিদ রোডের র‍্যাংগস প্যানারোমা ভবনের তৃতীয় তলার শাখাটি বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ