থাইল্যান্ডের রাজতন্ত্রের সমালোচনা করায় মংকোল থিরাকোট নামে ৩০ বছর বয়সী এক গণতন্ত্রপন্থী কর্মীকে ৫০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শহর চিয়াং রাইয়ের আদালত এ রায় দেন। সংবাদ মাধ্যম দ্যা গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির কঠোর ‘লেস-ম্যাজেস্ট’ আইনে কোনো ব্যক্তিকে দেওয়া সবচেয়ে দীর্ঘ কারাদণ্ড এটি। রাজতন্ত্র সম্পর্কে যেকোনো নেতিবাচক মন্তব্যকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে লেস ম্যাজেস্ট আইন। এর আগে ২০২১ সালে এই আইনে ৪৩ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল এক নারীকে।
ফেসবুকে রাজতন্ত্রের সমালোচনা করে পোস্ট দেওয়ায় বিচারিক আদালত প্রথমে তাকে ২৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে তিনি আরও ১১টি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হন। পরে আপিল আদালত তাকে ৫০ বছরের কারাদণ্ড দেন। রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভে ২০২১ সালে তাকে প্রথম গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
২০২১ সালে রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভের সময় মংকোলকে গ্রেপ্তার করেছিল থাই সরকার।
মংকোলকে দেওয়া এই শাস্তি থাইল্যান্ডের ইতিহাসে ‘লেস-ম্যাজেস্ট’ আইনে দেওয়া কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি বলে জানিয়েছে বিবিসি। এই আইনে রাজতন্ত্র সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। এর আগে লেস-ম্যাজেস্ট আইনের অধীনে এক নারীকে ৪৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
সম্প্রতি থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে দেশটির মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি বিজয়ী হয়েছে। নির্বাচনের আগে দলটি লেস-ম্যাজেস্ট আইন সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছিল।
বেসরকারি সংস্থা থাই লইয়ার্স ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, এ আইনের অধীনে ২০২০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ২৬০টি মামলা হয়েছে। বিচার করা হয়েছে প্রায় দুই হাজার জনের।