প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার গ্রহণ করেছেন ১৬ জন লেখক। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর বইমেলার উদ্বোধন করবেন তিনি।
এবার বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন- কবিতায় শামীম আজাদ, কথাসাহিত্যে নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীর ও সালমা বাণী, প্রবন্ধ-গবেষণায় জুলফিকার মতিন। অনুবাদে সালেহা চৌধুরী, নাটক ও নাট্যসাহিত্যে (যাত্রা, পালা নাটক, সাহিত্যনির্ভর আর্টফিল্ম বা নান্দনিক চলচ্চিত্র) মৃত্তিকা চাকমা ও মাসুদ পথিক, শিশুসাহিত্যে তপংকর চক্রবর্তী, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় আফরোজা পারভীন ও আসাদুজ্জামান আসাদ, বঙ্গবন্ধুবিষয়ক গবেষণায় সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল ও মো. মজিবুর রহমান, বিজ্ঞান-কল্পবিজ্ঞান-পরিবেশবিজ্ঞানে ইনাম আল হক, আত্মজীবনী-স্মৃতিকথা-ভ্রমণকাহিনী-মুক্তগদ্যে ইসহাক খান এবং ফোকলোরে তপন বাগচী ও সুমনকুমার দাশ।
এবারের বইমেলার প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘পড়ো বই, গড়ো দেশ: বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।’ এবার বইমেলায় ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৯৩৭টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বাংলা একাডেমি মাঠে ১২০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৫১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৬৪টি স্টল বরাদ্দ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া এ বছর বইমেলায় মোট ৩৭টি প্যাভিলিয়নও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
মেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মাসব্যাপী সেমিনারের পাশাপাশি শিশু-কিশোরদের জন্য ছবি আঁকা, সংগীত ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা থাকবে।
বইমেলা ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। রাত সাড়ে ৮টার পর কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না। ছুটির দিন বইমেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। ২১ ফেব্রুয়ারি মেলা শুরু হবে সকাল ৮টায়, চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।