গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আগামী মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ভোট অনুষ্ঠিত হবে। মানবিক যুদ্ধবিরতির এই প্রস্তাব দিয়েছে আলজেরিয়া। তবে, এতে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য ভেটো দেবে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে। খবর রয়টার্সের।
প্রতিবেদনে লন্ডনভিত্তিক সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে নিরাপত্তা পরিষদের সহযোগী সদস্য আলজেরিয়া প্রস্তাবটির খসড়া উত্থাপন করে। তবে এর সমালোচনা করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড। তিনি বলেন, ‘খসড়ায় যে শব্দগুলো ব্যবহার করা হয়েছে তা যুদ্ধবিরতি নিয়ে চলমান সংবেদনশীল দরকষাকষি প্রক্রিয়াকে বিপদগ্রস্ত করতে পারে।
কূটনৈতিকরা বলছেন, প্রস্তাবটির বিষয়ে আগামী মঙ্গলবার ভোটের জন শনিবার অনুরোধ করছে আলজেরিয়া। প্রস্তাবটি পাসে নিরাপত্তা পরিষদের ৯ সদস্যের ভোটের প্রয়োজন। আর নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চীন ও রাশিয়ার যে কেউ ভেটো দিলে প্রস্তাবটি ভেস্তে যাবে।
শনিবার এক বিবৃতিতে লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এই খসড়া প্রস্তাবে সমর্থন করে না। এটা নিয়ে ভোটের আয়োজন করা হলে তা গ্রহণ করা হবে না।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। প্রতিক্রিয়ায় গাজা উপত্যকাসহ অধিকৃত পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমে ইসরায়েলি হামলা চলমান। ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরুর পর দুবার স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভেটো দেয় ওয়াশিংটন। তবে, গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়ানো ও মানবিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হতে সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য যুক্তরাষ্ট্র, মিসর, ইসরায়েল ও কাতার আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি, হামাসের কাছে থাকা পণবন্দিদের মুক্তির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘এই প্রক্রিয়াটি সফল হওয়ার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা খুবই জরুরি। সহিংসতার দীর্ঘমেয়াদী সমাধান খুঁজে পাওয়ার এই প্রক্রিয়ার সামনে এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ চাপিয়ে দেওয়া হলে তা ভেস্তে যেতে পারে।’