স্টাফ রিপোর্টার: আবার ১০০ টাকা ছুঁয়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম। কোরবানির ঈদের আগেও রাজধানীর খুচরা বাজারে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজের কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা থাকলেও এখন ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৬০ টাকার নিচে নেই কোনো সবজি। চড়া বেশকিছু নিত্যপণ্যও। এমন পরিস্থিতিতে পণ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। দামের ঊর্ধ্বগতিতে নাজেহাল হয়ে পড়ছেন নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তরা।
শুক্রবার (২৮ জুন) ছুটির দিন বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা এমন চিত্র গেছে।
বাজারে গত সপ্তাহে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ ব্যবধানে ৫-১০ টাকা বেড়েছে। খুচরা দোকানে বাছায় করা পেঁয়াজ এখন ১০০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হচ্ছে। এগুলো আকারে একটু বড়। সাধারণ মানের পেঁয়াজ ৯৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
বাজারে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের সরবরাহ কম। মাত্র অল্প কয়েকটি দোকানে আমদানি করা পেঁয়াজ দেখা গেছে। আমদানি করা পেঁয়াজও বিক্রি হচ্ছে একই দামে।
পেঁয়াজ বিক্রেতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, পেঁয়াজের মৌসুম (বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ) যত শেষের দিকে যাচ্ছে, দাম তত বাড়ছে। আগামীতে এ দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে সেটা বলা যাচ্ছে না।
অন্যদিকে বাজারে বেড়েছে আলুর দামও। গত সপ্তাহে খুচরায় ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ শুক্রবার বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজি দরে। তবে দরদাম করলে কোনো কোনো দোকানে ৬০ টাকায় মিলছে।
রাজধানীর মহাখালীর এক দোকানি বলেন, ৬০ টাকায় আলু বিক্রি করলে কোনো লাভ থাকে না। কারণ, পাইকারি কেনায় পড়ছে ৫৮ টাকা কেজি দরে।
তিনি বলেন, পাইকারি বাজারে আলুর দাম প্রায়ই ২/১ টাকা বাড়ছে। আসলে আলুর সঙ্কট দেখা দেওয়ায় দাম বেড়েছে। মুন্সিগঞ্জ, রাজশাহী, রংপুরে আলুর খুব সঙ্কট চলছে, পাওয়া যাচ্ছে না। এ বছর উৎপাদন কম হওয়ায় এ সমস্যা তৈরি হয়েছে।
এদিকে, কাঁচামরিচের কেজি ঠেকেছে ১৬০-২০০ টাকায়। পেঁপের কেজি ৭০-৮০, বেগুনের কেজি ৮০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। পটল, ঢ্যাঁড়সের কেজি ৬০ টাকা। তবে কচুর লতি, বরবটি, কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে আরও ২০ টাকা বেশি দরে, অর্থাৎ ৮০ টাকার আশপাশে প্রতি কেজি।
অপরদিকে, খুচরা পর্যায়ে ক্রেতাকে ডিমের ডজনে গুনতে হচ্ছে ১৫০ টাকা। পাইকারিতে ডিমের পিস প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১১ টাকা ৫০ পয়সা। পাড়া-মহল্লায় ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকা।
স্বস্তি নেই আদা-রসুনের দামে। আলুর কেজি ৬০-৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।