পথে প্রান্তরে ডেস্ক : স্মার্টফোনে আসক্তি আবালবৃদ্ধবনিতার। একুশ শতকে একটি স্মার্টফোন ছাড়া দিন পার হওয়া মুশকিল। ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধরাও মোবাইল ফোনে দিনাতিপাত করেন। অনেক সময় এই মোবাইল ফোনের কারণে অশান্তির সৃষ্টি হয়। অনেক ভালো কাজও সম্পন্ন হয় মোবাইল দ্বারা। তবে, বেশি যে সমস্যা তা হলো ছোট শিশুদের মোবাইলের প্রতি আসক্তি। অনেক শিশুকেই দেখা যায়, মোবাইল হাতে না দিলে তাদের খাবার খাওয়ানো মুশকিল হয়। অনেকেই ঘুম থেকে উঠে কিংবা ঘুমাতে যাওয়ার আগেও মোবাইল চালায়। এতে যেমন শিশু চোখের সমস্যা হয়, তেমনি মস্তিকেও নানাবিধ সমস্যা হতেই পারে। আর তাই জেনে নিন, সন্তানকে মোবাইলের আসক্তি থেকে দূরে রাখবেন যে সকল উপায়ে।
১. প্রথমেই রুটিন তৈরি করে ফেলুন। শিশু রাতে কখন ঘুমোবে, সকালে কখন ঘুম থেকে উঠবে, কখন স্কুলের জন্য বেরোবে, কখন বাড়ি ফিরবে, কত ক্ষণ পড়াশোনা করবে— এ সব কিছুরই রুটিন থাকা দরকার। তা হলে সেই মতো শরীরচর্চা বা খেলাধূলা করানোর সময় বার করা যাবে।
২. সন্তানকে বলুন, নতুন খেলা শেখাবেন আপনি। তাতে খুব মজা হবে। অনিন্দিতা বলছেন, দরকারে খেলনাও কিনে দিন। সেটা দেখিয়েই তাকে বাইরে নিয়ে যান। এখন অনেক আবাসনেই ছোটদের খেলার আলাদা জায়গা থাকে। যদি তা না-ও থাকে, তা হলে বাড়ির সামনে অথবা ছাদেও নিয়ে যেতে পারেন। স্পট জগিং দিয়ে শুরুটা করতে পারেন। তার পর ফ্রি-হ্যান্ড করান। আপনিও করুন। তা হলে আপনাকে দেখে সন্তান উৎসাহ পাবে।
৩. যোগাসন করাতে হলে কোনও প্রশিক্ষকের থেকে জেনে নেওয়াই ভাল। আপনার সন্তানের বয়স, ওজন, উচ্চতা অনুযায়ী তিনি যোগাসন শেখাবেন। সন্তানের কোনও শারীরিক সমস্যা আছে কি না, অথবা কোনও ওষুধ খায় কি না, সেটা আগেই বলে নেবেন।
৪. ব্যায়াম করে গায়ে, হাত-পায়ে ব্যথা হলে সন্তান আর সেটা করতে চাইবে না। তখন বকাবকি না করে ধৈর্য ধরে বোঝাতে হবে। সে দিনটা না হয় অন্য রকম কিছু করালেন। ঘরে গান চালিয়ে অ্যারোবিক্স বা জুম্বা অভ্যাস করাতে পারেন। তার আগে অবশ্য আপনিও কিছু পদ্ধতি শিখে নিন।
৫. শারীরিক কসরতের পরে মেডিটেশনও জরুরি। ছোট থেকেই সন্তানকে অভ্যস্ত করাতে হবে। শিশুরা এমনিতেই ছটফটে। এক জায়গায় হয়তো বসতে চাইবে না। কিন্তু আপনাকেই সেই দায়িত্ব নিয়ে তাকে অন্তত ১৫ মিনিটও চুপ করে বসানোর অভ্যাস করাতে হবে। এতে ছোট থেকেই একাগ্রতা, মনঃসংযোগ বাড়বে শিশুর। স্মৃতিশক্তিও উন্নত হবে।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা