ধর্ম ডেস্ক: অন্যকে রক্তদান করা একটি মহান নেকীর কাজ। বিশেষত কারো জীবন বাঁচানোর স্বার্থে রক্তদান করা আরো গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা ইহসান কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ ইহসানকারীদের ভালবাসেন’ (বাক্বারাহ ২/১৯৫)।
কারো জীবন বাঁচাতে বিনিময় ছাড়া মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় রক্তদান মহান ইবাদত। একমাত্র মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় এ ইবাদত করতে পারে, তাহলে সে মহান আল্লাহর কাছে এর উত্তম প্রতিদান পাবে- ইনশাআল্লাহ। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, আর যে মানুষের প্রাণ বাঁচালো, সে যেন সব মানুষকে বাঁচালো। (সুরা মায়েদা, আয়াত : ৩২)
সৃষ্টির সেরা মানুষ। মানুষের জীবন বাঁচানো কতটা সওয়াবের, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মানুষের দুঃখ-দুর্দশায় তাদের পাশে দাঁড়ালে দুনিয়া ও আখিরাতে মহান আল্লাহর সাহায্য পাওয়া যায়। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কুকুরকে পানি পান করিয়ে এক ব্যভিচারী নারী ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়েছেন। (বুখারি: ৩৩২১)
বিখ্যাত সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের পার্থিব কষ্টসমূহ থেকে কোনো কষ্ট দূর করবে কিয়ামতের কষ্টসমূহ থেকে আল্লাহ তার একটি কষ্ট দূর করবেন। যে ব্যক্তি কোনো অভাবীকে দুনিয়াতে ছাড় দেবে আল্লাহ তাকে দুনিয়া ও আখিরাতে ছাড় দেবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের দোষ গোপন রাখবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ গোপন রাখবেন। আর আল্লাহ বান্দার সাহায্যে থাকেন যতক্ষণ সে তার ভাইয়ের সাহায্য করে যায়। (মুসলিম, তিরমিজি)
রক্তদাতার প্রতি মহান আল্লাহ রহমত বর্ষণ করেন। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি অনুগ্রহ ও অনুকম্পা প্রদর্শনকারীদের প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ ও দয়া বর্ষণ করেন। সুতরাং তোমরা জমিনের অধিবাসীদের প্রতি দয়া করো, তাহলে আকাশের মালিক তোমাদের প্রতি রহমত বর্ষণ করবেন। (তিরমিজি)