আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নির্বাচনী প্রচারণায় ১৭৩টি বক্তৃতা দিয়েছেন, তার মধ্যে ১১০টিতেই মুসলিম বিদ্বেষী কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
সম্প্রতি মানবাধিকার সংগঠনটির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, তিনি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে বক্তব্যগুলোর মাধ্যমে সাম্প্রদায়িতা উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
বুধবার (১৪ আগস্ট) প্রকাশিত এইচআরডব্লিউ এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৭৩টির মধ্যে ১১০টি (৬৩ শতাংশ) ভাষণে মোদি ‘ইসলামভীতি’ নিয়ে মন্তব্য করেছেন। আর তিনি এই কাজ করেছেন সম্ভবত রাজনৈতিক বিরোধিতাকে দুর্বল করার উদ্দেশ্যে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মোদি তার বক্তব্যে মুসলিম জনসংখ্যা দ্রুত বাড়ার মিথ্যা তথ্য ছাড়াও মুসলিমদের বহুবিবাহ, ধর্মান্তরিতকরণ, অনুপ্রবেশকারী হিসেবে দায়ী করেন। যার ফলে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মোদির সমালোচনামূলক মন্তব্যের পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতার কথাও উল্লেখ করেছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এর এশিয়া ডিরেক্টর ইলেইন পিয়ারসন বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি নেতারা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রচারাভিযানে নির্লজ্জভাবে মিথ্যা দাবি করেছেন। মোদি প্রশাসনের অধীনে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে এক দশকের আক্রমণ এবং বৈষম্যের মধ্যে এই ঘৃণামূলক বক্তব্যগুলো মুসলিম, খ্রিস্টান এবং অন্যদের বিরুদ্ধে নির্যাতনকে আরও স্বাভাবিক করেছে।