Search
Close this search box.

সিলেটে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি

সিলেট প্রতিনিধি: ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে সারাদেশ নায়ক বনে গিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। তাদের এই জনপ্রিয়তাকে পুজিঁ করে এক স্বার্থন্বেষী মহল শুরু থেকেই নানান অপরাধ করে যাচ্ছে। এবার সিলেটের গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজের অনিয়মিত শিক্ষার্থী আজমল হোসেনের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে চাঁদাবাজি ও নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন উপজেলার সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এই অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, ‘উপজেলায় কোনো সমন্বয়ক না থাকলেও লেঙ্গুড়া ইউনিয়নের লেঙ্গুড়া গ্রামের ফয়ছলের ছেলে আজমল হোসেন (২২) নিজেকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে তার কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে এলাকায় প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করছেন।’

গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়নের সিমিরপাড় গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে আরজানুল আযহার জুনেদ শিক্ষার্থীদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন । তিনি গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলন চলাকালে গোয়াইনঘাট উপজেলায় কাউকে সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। উপজেলার গোয়াইন গ্রামের বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম স্থানীয়ভাবে এ আন্দোলনে সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন।’

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘গত ২৩ সেপ্টেম্বর আজমল হোসেন ও তার সহযোগী কিবরিয়া আহমদ (২০), রুহুল আমিন (৩০) ও খসরুল আমিনসহ (২৮) আরও ৪-৫ জন লেঙ্গুড়া ইউনিয়নের লেঙ্গুড়া গ্রামের বালুমহালে নৌকা আটকে কয়েকজন শ্রমিককে গালিগালাজ করেন। এসময় তারা দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। বিষয়টি বালু ব্যবসায়ীরা গোয়াইনঘাট উপজেলার ব্যবসায়ী নেতাদের জানালে আজমল ও তার সহযোগীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। ওইদিনই আরও একটি নৌকা আটকে ব্যবসায়ীদের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন তারা।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ‘আজমল ও তার সহযোগীদের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় গোয়াইনঘাট উপজেলার অর্ধশতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজে জড়ো হয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেন। এসময় আজমল হোসেন তার সহযোগীদের নিয়ে কলেজে এসে মানববন্ধনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান ও ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। তখন শিক্ষার্থীরা তাদের ধাওয়া করে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেন।’

এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বাবর উদ্দিন, আমিরুল ইসলাম, নাজমুল ফাহিম, তানজিল হোসেন, ফখরুজ্জামান ফলিক, শামীম আহমদ সুমন, আশরাফুল আলম ইমন প্রমুখ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ