স্টাফ রিপোর্টার: দেশব্যাপী পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ আজ থেকে সুপারশপগুলোতে কার্যকর হচ্ছে। ২০০২ সালে পলিথিন নিষিদ্ধ হলেও কার্যকর ভাবে বাস্তবায়ন হয়নি। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের কঠোর পদক্ষেপের ফলে আজ থেকে দেশের কোনো সুপারশপে পলিথিন ব্যাগ রাখা বা সরবরাহ করা যাবে না।
পাট ও কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহারে নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং ক্রেতাদের নিজস্ব ব্যাগ নিয়ে আসার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
পূর্ব নির্দেশনা অনুযায়ী ১লা নভেম্বর থেকে ঢাকার ১০টি কাঁচাবাজারে পলিথিন ব্যবহার বন্ধে কার্যক্রম শুরু হবে। দেশব্যাপী পলিথিন উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধেও অভিযান চালানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পলিথিন শপিং ব্যাগের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় পলিথিন ব্যাগ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ওই সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারশপে কোনো ধরনের পলিথিন বা পলিপ্রপাইলিনের ব্যাগ রাখা যাবে না। একই সঙ্গে ক্রেতাদের দেওয়া যাবে না। ওই দিন বিভিন্ন সুপারশপের প্রতিনিধি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তখন থেকেই সুপারশপগুলো ইতিবাচকভাবে সাড়া দিয়েছে।
জানা যায়, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এর বিধান অনুসারে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০০২ সালের ১ মার্চ বিএনপি সরকার দেশে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তারপর পেরিয়েছে ২২টি বছর। এর মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, আওয়ামী লীগ সরকার দেশ শাসন করেছে। কিন্তু আইন থাকা সত্ত্বেও দেশে পলিথিন ব্যবহার রোধ করা সম্ভব হয়নি। পলিথিন ব্যবহার কমার পরিবর্তে সুপারশপ থেকে শুরু করে সবখানেই বরং বেড়েছে পলিথিনের ব্যবহার। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিষয়টি নিয়ে আবারো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে।